DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

রাজাকার ও জঙ্গীবাদী সহযোগীরা বাদে সকলের মাঝে জাতীয় ঐক্য করুনঃ জয়

sajeebক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জঙ্গিবাদী এবং তাদের সহায়তাকারীরা ছাড়া অন্য সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা তনয় এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জাতীয় ঐক্যের ডাক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে আগামী বিজয় দিবসের আগেই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যারা রাজনীতিতে আছেন তাদের সঙ্গে ‘সুশীলদের’ও দেশের স্বার্থে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের সকল মানুষ, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নাস্তিক আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হব। তবে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে কোনো দিন আমাদের ঐক্য হবে না, তাঁদের আমরা চাই না।

সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী এবং দেশের মানুষদের হত্যাকারীদের জাতীয় ঐক্যে চান না জানিয়ে জয় বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় পতাকা দিয়ে মন্ত্রী বানায়, যারা জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয় তাদেরকে আমি চাই না।

তিনি আরো বলেন, তার বাইরে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে থাকে, উন্নত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, আমরা সবাই রাজাকার, জঙ্গিবাদ এবং তাদের সমর্থক বাদে সকল বাঙালি এই ১৬ ডিসেম্বরের আগে ভবিষ্যতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। এ সময় তিনি জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা চাই দেশ এগিয়ে যেতে থাকুক। মানুষের জীবনের উন্নয়ন হোক। সবাই ভাল থাকুক।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাঙালি, বাংলাদেশি, আমাদের সুবজ-লাল পতাকা, আমাদের স্লোগান জয় বাংলা। এটা বাংলাদেশের স্লোগান, আমাদের স্বাধীনতার স্লোগান।

কথিত সুশীল সমাজের সমালোচনা করে তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশে পরামর্শ দেওয়ার লোকের অভাব নেই। তবে ভাল কাজ করার সময় লোক পাওয়া যায় না।

ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন ‘সুচিন্তা বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এ আরাফাত বক্তব্য দেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!