ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় থাকা বিজিবি প্রধান মেঃ জেনারেল আজিজের ছোট ভাই জোসেফের (তোফায়েল আহমেদ) মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এরফলে প্রায় ২০ বছর ধরে কারাগারে থাকা জোসেফের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৭ মে খুন হন মোস্তফা। ওই ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন জোসেফ ও তার সহযোগী কাবিল সরকার।
২০০৪ সালের ২৫ মে নিম্ন আদালত এই মামলায় জোসেফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ভাই হারিস ও দুই সহযোগী কাবিল এবং আনিসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা আসামিরা জেল আপিল করে। ২০০৭ সালে ওই আপিল ও ডেথরেফারেন্সের শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
এরপর আপিল বিভাগে আসে মামলটি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার জোসেফের যাবজ্জীবন এবং অন্য আসামি কাবিল সরকারকে খালাস দেন।
এপ্রসঙ্গে জোসেফের আইনজীবিগন বলেন, আইনগতভাবেই জোসেফের যাবজ্জীবন (১৪ বছর) সাজা খাটা হয়ে গেছে। তাই এখন তার কারামুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই।
জোসেফের পিতা ওয়াদুদ আহমেদ ছিলেন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। জোসেফ সবচেয়ে ছোট ছেলে। তার অন্য ছেলে হারিস আহমেদের নামও রয়েছে পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়। হারিস বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন।
তার আরেক ছেলে সাঈদ আহমেদ টিপু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
উল্লেখ্য ওয়াদুদ আহমেদের বড় ছেলে মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক এবং শেখ হাসিনা সরকারের অত্যন্ত আস্থাভাজন একজন সেনা কর্মকর্তা। জোসেফ এক সময় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে পুরো মোহাম্মদপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন।