DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

‘চোখের পানি মুছে ফেলো, তোমাদের বাবা শহীদ হয়েছেনঃ সন্তানদের বললেন ফারহাত কাদের চৌধুরী

sakajanaza

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ   মুক্তিযুদ্ধের সময় কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন  কাদের চৌধুরীকে গত পরশু রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

নিজ গ্রামে জানাজার পূর্বে  এই অভিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ানকে  ‘শহীদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে সাকার মরদেহ কড়া নিরাপত্তায় তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামে পৌঁছালে জানাজার নামাজের জন্য সেটি নিয়ে যাওয়া হয় তাদের দাদার বাড়ি লাল বিল্ডিংয়ে।

সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর নতুন বাড়ি বায়তুল বিলাল থেকে পুরনো বাড়িতে পায়ে হেঁটে মেয়ে ফারজিন কাদের ও পুত্রবধূ দীনিয়া খন্দকার সাথে নিয়ে সেখানে পৌঁছানোর সময় মেয়েকে উদ্দেশে করে সালাউদ্দীন পত্নী এ কথা বলেন ।

এ সময় ফারহাত কাদের চৌধুরী বলেন, ‘তোমরা একদম চোখের পানি ফেলবে না। কাঁদবে না। তোমাদেরর বাবা শহীদ হয়েছেন ।’

এসব কথা বলে তিনি তাদের পারিবারিক মসজিদের আঙিনায় জানাজায় অংশগ্রহণ করেন । এরপর সাকার মরদেহ যখন মসজিদের পাশের পারিবারিক নতুন কবরস্থানে দাফন করার জন্য নেয়া হয়, সে সময় পুকুরপাড়ে মেয়ে-পুত্রবধূ ও ননদকে নিয়ে সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ফরহাত কাদের।

এ সময় সাকার মরদেহের দিকে তাকিয়ে ফারহাত বলেন, ‘তার শরীর-চেহারায় গত কয়েকদিনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর আগে যেমন দেখে এসেছিলাম কালকেও সেরকম দেখলাম। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।’ এরপর মা-মেয়ে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সেখান থেকে বায়তুল বিলালে চলে যান।

এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ ৯টি গাড়ির বহর নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা দেন ফারহাত কাদের চৌধুরী। তারও আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও তার স্ত্রী দানিয়া খন্দকার একই গাড়িতে চড়ে ঢাকা থেকে গহিরায় আসেন।

তবে গাড়ি থেকে নেমে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী নিকটাত্মীয়দের জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও একেবারেই নির্বাক ছিলেন সালাউদ্দীন কাদের পত্নী ফারহাত কাদের চৌধুরী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!