DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মিনা দূর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য এখনও সম্পুর্ন নয়ঃ চরম বিশৃংখলায় উদ্ধার কাজ চলছে

mecca-stampede_CFD0866D13534B16B4CEC1154768C05Fক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিনায় ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক দূর্ঘটনার আসল কারন এবং প্রকৃত হতাহতদের তথ্য পরিচয় এখন নিশ্চিত করতে পারেনি সৌদী কর্তৃপক্ষ ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান উদ্ধারকাজ ও তথ্য সমন্বয় ইত্যাদিও চলছে বিশৃখল ও ব্যাপক অব্যবস্থাপনার মধ্যে।

এই দুঃখজনক ঘটনার কারন অনুসন্ধানে সৌদী সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তাদের গাফিলতি এবং অবহেলার কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন মহল ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে ।

এর মধ্যে ইরানের অভিযোগটি সবচাইতে গুরুতর।ইরান এই ঘটনার জন্য সৌদী সরকারকে সরাসরি দায়ী করে বলেছে ঘটনাস্থল থেকে বহির্গমনের পাঁচটি গেটের মধ্যে মাত্র তিনটি গেট ঐসময় খোলা ছিলো এবং বাকি দুটি তালা বন্ধ থাকায় এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে।উল্লেখ্য নিহতদের মধ্যে ইরানের হজ্জযাত্রী সবচেয়ে বেশী ,প্রায় শতাধিক।

বাংলাদেশ থেকে যারা হজ্জ করতে সৌদি আরবে গেছেন তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস।

mina1দূতাবাসের হজ্জ বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য না জানানো পর্যন্ত এটা বলা যাচ্ছে না।

দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য জায়গা থেকে বাংলাদেশি হাজিদের উৎকন্ঠিত আত্মীয়স্বজন যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ পাচ্ছেন না তা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়ে পারছেন না তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা ৯২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরি করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল টিম লিডার, যুগ্ম সচিব হজ্জ বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে গিয়েছেন এবং এদের সম্পর্কে খোঁজখবর করছেন। দুজন বাংলাদেশি হজ্জযাত্রী মারা গেছেন বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ পর্যন্ত যেসব খবরাখবর বেরিয়েছে সে প্রসঙ্গে জহিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার একজন হজ্জযাত্রীর ছেলে দূতাবাসকে জানান যে তার মা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং তিনি মারা গেছেন, কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়নি।

এটা ওনার ছেলের বক্তব্য। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনও কিছু বলতে পারছি না। সেখানে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও মিনার মাঠে আছেন। সেখানে এখনও হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পুরো মক্কায় এখন প্রচুর যানজট- এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে যাওয়া খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবুও তার মধ্যেই দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলছেন সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে একটা স্পষ্ট চিত্র পেতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!