DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

অবাধ নির্বাচন হলে বিএনপি শতকরা ৭২ ভাগ ভোট পাবে : এমাজউদ্দিন আহমেদ

emazক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এই মুহূর্তে অবাধ নির্বাচন হলে শতকরা ৭২ ভাগ ভোট বিএনপির বাক্সে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষাবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমানের অষ্টম কারামুক্তি দিবস’ ও তেল গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির দুর্বল হওয়ার কোনো কারণ নেই। দল পুনর্গঠন করারও দরকার নেই, শুধু একটু ঢেলে সাজাতে হবে। বর্তমান সরকারের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে দাবি করে তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংক থেকে শুরু করে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখান দুর্নীতি বাসা বাঁধেনি।

সরকারের মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন কিন্তু কাজের বেলায় তলাবিহীন ঝুড়ি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একদিকে মন্ত্রীরা বলছেন আমরা গণতন্ত্রের চেয়ে অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছি। অথচ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজকে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে একজন অর্থনীতিবিদকে প্রশ্ন করলে তিনিই ভাল উত্তর দিতে পারবেন।’ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন,‘যখন বিশ্ববাজারে এগুলোর দাম কমছে ঠিক সেই মুহূর্তে অযৌক্তিকভাবে বাংলাদেশে নাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমন ঘটনা যদি ইংল্যান্ডে ঘটত তাহলে পরের দিনই সেই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারত না।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী দাবী করে তিনি বলেন, ‘তার বিকল্প নেত্রী বাংলাদেশে নেই। তার প্রমাণ যত প্রতিকূলতার মধ্যেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তিনি জয় লাভ করেছেন।’ তিনি আরো বলেন,‘যারা ক্ষমতাকে অপব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন বলতে আমি বুঝি তাদেরকে বারে বারে চাপ দিতে সত্য বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। তার জন্য গাড়ি পোড়ানো দরকার নেই। ‘বাংলাদেশে আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুন্দর পথ রচনা করতে হবে। যারা ‘অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে’ এসব বড় বড় কথা বলেন তাদের মন্তব্য সঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসবে, ততদিন অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি। আমাদের আগে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিএনপির পক্ষে দেশের তরুণ-তরুণী ও ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাহলেই বিএনপি তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। রাজনীতি মানে প্রতিপক্ষকে নির্যাতন নয় মন্তব্য করে সহনশীলতার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যও সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

এমাজউদ্দিন আহমেদ বিএনপির নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ভয় পাওয়ার বা দুর্বল হওয়ার কারণ নেই। বিএনপির অনেক জনসমর্থন রয়েছে।কারণ এ পর্যন্ত যতবার ভোট হয়েছে ততবারই খালেদা জিয়া প্রতিটি আসনেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা কম ভোট পেয়েছেন এবং কোনো কোনো আসনে পরাজিত হয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার থেকে বেশি জনপ্রিয় দলের নেত্রী। সুতরাং যতই সরকার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করুক বিএনপিকে সহজে ধ্বংস করতে পারবে না।

জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির সহ স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিম প্রমুখ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!