ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাসাস নেতা মাহমুদুল্লাহ মামুনের বিরুদ্ধে সজীব ওয়াজেদ জয় কে অপহরন চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে ।
এই মামুন হচ্ছেন জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তথ্য উৎঘাটনকারী রিজভী আহমেদ সিজারের বাবা। এই রিজভী আহমেদ এখন তথ্য আইনে ৪২ মাসের কারাভোগ করছেন ।
জানা যায় প্রধানমন্ত্রীর পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই বিপুল পরিমান অর্থের হিসাব নিকাশ হস্তগত করেন জনাব রিজভী কিন্তু এসব তথ্য সঠিক হলেও তথ্য আইনে তাকে ফাঁসিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া ওরফে মিল্টন ভূঁইয়া।
বিএনপির বিতর্কিত নেতা এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই মিল্টন ভূইয়া এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে রিজভীকে তথ্য উৎঘাটনের দোষ স্বিকারে বাধ্য করেন এবং শুধুমাত্র তার কারনেই এতো গুরুত্বপূর্ন তথ্য হাতে পাবার পরও রিজভীকে ৪২ মাসের জন্য কারাবাস নিতে বাধ্য হতে হয় ।
৩০০ মিলিয়ন ডলারের খবর ফাঁস হয়ে গেলে জয়কে বাঁচাতে যে মিথ্যা অপহরন এর অভিযোগ করা হয় তাও নাকি এই মিল্টন ভূঁইয়ারই আবিস্কার।তিনি তার গুরু সাদেক হোসেন খোকার তত্বাবধানে এবং আওয়ামী লীগের অর্থায়নে এই তথ্য ধামাচাপা দেয়া প্রকল্প হাতে নেন ।
সম্প্রতি ঢাকায় জাসাস নেতা মামুনের নামে যে মামলাটি হয়েছে তারও পেছনের কলকাঠি নেড়েছেন এই তথাকথিত বিএনপি নেতা মিল্টন ভূইয়া ।
প্রবাসে বিএনপির প্রথম সারীর নেতা মিল্টন ভূইয়ার মতো একজন, কিভাবে সরাসরি আওয়ামী লীগের পক্ষে এবং বিএনপির বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন,তা সত্যিই বিষ্ময়কর।
এধরনের বর্নচোরা নেতাদের কারনে অতিতে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়েছে , এখনও হচ্ছে ।
এদের চিন্হিত করে অবিলম্বে এদের রিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে এরা দেশ ও দলের আরও অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে এই আশংখা প্রবাসের বিভিন্ন মহলের।