DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সিলেটে রোমহর্ষক পৈশাচিক নির্যাতনে শিশু হত্যা :এখনো গ্রেফতার হয়নি ৩ আসামি

rajonচোর অভিযোগে শেখ সামিউল আলম রাজন নামে ১৩ বছরের শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা মামলার তিন আসামিকে চার দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর হত্যার ভিডিওচিত্রসহ মুহিদ আলম নামে এক আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে বুধবার সকালে সবজি বিক্রি করতে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু সামিউল। চুরির অভিযোগে একটি দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেধে রুল দিয়ে পিটিয়ে ও খুচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এর পর মাইক্রোবাসে করে শিশুটির লাশ গুমের চেষ্টাকালে ওইদিনই মুহিদ আলম (৩২) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে শনিবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রবিবার এই রিমান্ড আবেদনের শুনানী হওয়ার কথা থাকলে তা পিছিয়ে আদালত সোমবার ধার্য করেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘গ্রেফতার মুহিদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি রবিবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালত তা পিছিয়ে সোমবার ধার্য করেছেন।’ তবে এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।

বুধবার সকালে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেধে পিটিয়ে হত্যার সময় হত্যার সঙ্গে জড়িত একজন তার মোবাইলে সেই নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে। পরে তা এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ১৩ বছরের শিশুটিকে নির্যাতনের একপর্যায়ে সে ছাড়া পাওয়ার জন্য পাষণ্ডদের কাছে আকুতি জানায়। কিন্তু শিশুটির সেই আকুতিতে কারোরই মন গলেনি। উল্টো তাকে আরও নির্মভাবে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে শিশুটি একটু পানির আকুতি জানালে তারা তাকে শরীরের ঘাম আর চোখের পানি খেতে বলে। এর পর শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ সময়ে হত্যাকারীরা নানা ঠাট্টাও করে।

এ ঘটনায় জালালাবাদ থানা পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার রাতেই আটক মুহিদ আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করে। অপর আসামিরা হল— মুহিদ আলমের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫)।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘শিশু রাজনকে নির্যাতনের সময় যে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয় সেটি আমাদের হাতে এসেছে। তা দেখে মনে হচ্ছে যে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা সবাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর পরই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে আসছি। আশা করছি, জড়িত অপর আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হব

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!