DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

অবশেষে সত্যেরই জয় হল

sayemক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঘোর অমানিশার পর যেমন স্নিগ্ধ সুন্দর সকাল আসে, প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের পর আসে শান্ত হিমেল বাতাস, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচারের পর দিবসের প্রথম সূর্যের ঔজ্জ্বল্য নিয়ে উদ্ভাসিত হয় প্রকৃত সত্য।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্বার্থান্বেষী মহলের অব্যাহত গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই সৎ ও বলিষ্ঠ অবস্থানে টিকে আছে গত সাড়ে তিন দশক ধরে।

আমরা দেখেছি কীভাবে ১/১১ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দীন এর অবৈধ সেনা সরকার বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নির্মূল করার নীল নকশা এঁকেছিলো। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা প্রচার প্রচারণা করে বিএনপির নামে দুর্নীতির কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে জনগণের কাছে দলটিকে হেয় প্রতিপন্ন করার যে হীন প্রচেষ্টা করা হয়েছিলো, যা শেষ পর্যন্ত  সফল হয়নি।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত ডজন ডজন মামলার একটিতেও বিশ্বাসযোগ্য কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একই ধারাবাহিকতায় জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধেও চলে কুচক্রী মহলের ক্রমাগত নেতিবাচক প্রচারণা।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মেধাবী এবং চৌকস আইনজীবি ব্যারিস্টার আবু সায়েম প্রবাসে বাংলাদেশীদের মাঝে অতি প্রিয় এক নাম। বৃটেনের অভিবাসন আইনের একজন প্রাজ্ঞ বিশেষজ্ঞ হিসেবে জনাব সায়েম বরাবরই বাংলাদেশী কম্যুনিটির লোকজনকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করে আসছেন। বিভিন্ন সময় অসচ্ছল বাংলাদেশীদের অনেকের মামলাই তিনি স্বল্প কিংবা বিনা ফিতে করে দিয়েছেন বলে প্রবাসীদের মারফৎ জানা যায়।

ছাত্রজীবনে অনন্যসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী ব্যারিস্টার সায়েম ব্যক্তিগত জীবনেও একজন বিনয়ী, সত্যভাষী, সদালাপী ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিগত দিনে বাংলাদেশের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন এবং দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সায়েম তার পেশাগত বিষয়ে সর্বৈব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের শিকার হন।

এ ঘটনাকে পুঁজি করে ন্যাক্কারজনক অপপ্রচারণা ও নষ্ট খেলায় মেতে ওঠে চিহ্নিত একটি মহল। উদ্দেশ্য, অসত্য প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং প্রবাসে বিএনপিকে অকার্যকর করে রাখা। অনুরূপভাবে আওয়ামী-বাকশালী সমর্থনপুষ্ট দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালিয়েছে যা ছিলো অত্যন্ত নিন্দনীয়।

সাময়িকভাবে কিছুটা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়লেও কর্মবীর সায়েম এতে মোটেও ভেঙ্গে পড়েননি। দেশনায়কের স্নেহভাজন ও আস্থা অর্জনকারী ১/১১’র দুঃসময়ে বিএনপির পরীক্ষিত সৈনিক এ তরুণ আইনজীবি নিভৃতে দলের কাজ করে গেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনীত কাল্পনিক ও অমূলক অভিযোগের মোকাবেলা করেছেন পরম ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে। দলের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে তিনি স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে এক বিরল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে আমাদের রাজনীতিতে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই জুন ২০১৫ তারিখে ব্যারিস্টার সায়েমকে তার পেশাগত সন্দেহমূলক সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ।

আরেকবার প্রমাণিত হলো, ন্যায় ও অন্যায়ের যুদ্ধে ন্যায়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে লালন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ব্যারিস্টার সায়েমের মতো মেধাবী, সৎ ও অকুতোভয় যোদ্ধারাই অবৈধ আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন – জনগণের এমনটাই প্রত্যাশা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!