DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে শেখ সেলিমও জড়িত : তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ

shafiক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের সময়কার ভূমিকা নিয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান,পরবর্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মীয় শেখ ফজলুল করিম সেলিম তুমুল বাহাস শুরু হয়েছে।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট অতি প্রত্যুষে  বঙ্গবন্ধুর বাসায় আর্মির আক্রমণ এবং সপরিবারে হত্যা সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন- আর্মি যখন বঙ্গবন্ধুর বাসায় ঢুকে পড়ে তখন তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহকে ফোন করে বলেন, তোমার আর্মি আমার বাসায় আক্রমণ করেছে। তুমি ইমিডিয়েট ব্যবস্থা গ্রহণ কর। বঙ্গবন্ধুর এই কথা শুনে প্রথমে কে এম সফিউল্লাহ বলেছিলেন, ঠিক আছে স্যার আমি দেখছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, না বঙ্গবন্ধু আমাকে ফোনই করেননি। আমি সকাল সোয়া পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার ভেতর ঘটনাটি জানতে পারি এবং জানার সাথে সাথে আমিই বঙ্গবন্ধুকে রিং করি।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ঐ সময় কে এম সফিউল্লাহ ধানমন্ডি ৩২ আসার কোনো চেষ্টা করেননি। কিংবা ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধুর বাসায় কী ঘটছে তার তদন্ত করার জন্যও পাঁচটা ট্যাংক নিয়েওতো তিনি যেত পারতেন,অথচ তিনি আসেনি।

এ বিষয়ে কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ট্যাংকগুলো মাসে দুইবার নাইট ট্রেনিং করতো। ১৫ আগস্ট নাইট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। তাই ১৫ আগস্ট নাইট ট্রেনিংয়ের নাম করে তারা ট্যাংক ব্যবহার করেছিল। যাতে করে কেউ কোনো সন্দেহ না করে।

ট্যাংকের ব্যাপারে শেখ ফজলুল করিম সেলিম কে এম সফিউল্লাহের প্রতিউত্তরে বলেন, এটা মোটেও সত্য নয়। তিনি সব মিথ্যে কথা বলেছেন।

কে এম সফিউল্লাহের বলেন, আমি যখন জানতে পেরেছি কেউ আর জীবিত নেই, তখন সেখানে আমার যাওয়ার কোনো কারণ ছিল না। মৃত দেহ দেখে আমার কী লাভ হত?

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ঐ দিন কে এম সফিউল্লাহ নিরবতা পালন করেছিল এবং তিনি বাসা থেকে বের হয়নি। মারা যাওয়ার পর তিনি মিটিংয়ে করেছিল।

কে এম সফিউল্লাহ বলেন, আমি যদি ঐ দিন মারা যেতাম তাহলে লাভটা কী হত?

শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শুধু ফারুক নয়, এর পিছনে আরো শক্তি ছিল যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল এবং ক্ষমতার লোভেই তারা এই কাজ করেছিল।

কে এম সফিউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ব্যাপার শেখ ফজলুল করিম সেলিম কী বলে তাতে আই ডোন্ট কেয়ার। তবে আমি তো মনে করবো শেখ মুজিব হত্যাকা-ে খন্দকার মোস্তাকের সাথে শেখ ফজলুল করিম সেলিমেরও আতাত ছিল। যদি তা না হয় তবে শেখ ফজলুল করিম সেলিম কেন ১৫ আগস্ট আমেরিকান দুতাবাসে গিয়েছিল?

এ বিষয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, না না আমি মার্কিন দুতাবাসে কেন যাব? কে এম সফিউল্লাহ কি আমাকে যেতে দেখেছিল? তাহলে তো উনিও সেখানে গিয়েছিল।

কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ১৫ আগস্ট আমার কোনো ভুল ছিল না। কিন্তু ঐ দিন যা হয়েছে তাতে আমার কোনো করণীয় ছিল না।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, কে এম সফিউল্লাহ যদি সময় মত ব্যবস্থা গ্রহণ করতো, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচানো যেতো।

তবে এদুজন সহ আরও বহু আওয়ামী লীগ নেতার তৎকালীন রহস্যময় ভূমিকার জন্য তাদের বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ করে থাকেন অনেকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!