DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ফাঁসির মঞ্চে কামারুজ্জামান ছিলেন নিঃশঙ্কচিত্ত ও হাস্যময়ঃ শেষ পর্যন্ত শেষ ঠিকানা শেরপূরেই

 kmruমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান  ফাঁসি কার্যকরের সময় তিনি নিঃশঙ্ক চিত্তে ফাঁসির মঞ্চের দিকে হেঁটে যান এবং ফাঁসি দেয়ার কয়েক মিনিট আগেও জল্লাদ এর সাথে হেসে হেসে কথা বলেন বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।



কারাসূত্রে আরো জানা যায়, এর আগে শেষ খাবার হিসেবে মুরগির মাংস ও ইলিশ মাছ দিয়ে সাদাভাত খেয়েছেন কামারুজ্জামান। তার আগে গোসল করেন। এরপর কেন্দ্রীয় কারাগারের পেশ ইমাম মো. মনিরুল ইসলাম কনডেম সেলে গিয়ে তাকে তওবা পড়ান। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তার। রাত ১০ টার পরে কার্যকর করা হয় ফাঁসি।

শেষ পর্যন্ত দাফন হচ্ছে তার জন্মস্থান শেরপুরেইঃ

 

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জমানের লাশ এ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার রাত ১১টা ৩৬ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি রওয়ানা দেয়।



এ্যাম্বুলেন্সের নিরাপত্তার জন্য আগে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (র‌্যাব ও পুলিশ) ১০টি করে গাড়ি রয়েছে। গাড়ি বহরে একটি অতিরিক্ত এ্যাম্বুলেন্সও রয়েছে। দ্বিতীয় এ্যাম্বুলেন্সে লাশটি বহন করা হচ্ছিল।



ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ফরমান আলী জেলগেইটে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করায় রাত সাড়ে ১০টায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তার লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি শেরপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।’



এর আগে, শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করেন নির্ধারিত জল্লাদরা।



কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টা ১ মিনিটে  ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টা ১৮ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চের কাছে যান প্রতিনিধি দল। এরপর ১০টা ৩০ মিনিটে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।’



ঢাকা জেল সুপারের উপস্থিতিতে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার হাতে থাকা লাল রুমাল মাটিতে ফেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল্লাদরা ফাঁসি কার্যকর করেন। এর আগে কামারুজ্জামানের মুখ কালো কাপড় ও মাথা কালো টুপি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর ফাঁসির দড়িটি তার গলার জড়িয়ে দেওয়া হয়।



ফাঁসির দড়িতে দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকার পর কামারুজ্জামানের মৃত্যুর বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে দড়ি থেকে নামানো হয়। এরপর দায়িত্বরত সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা তার ঘাড়, হাত ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।



এদিকে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে শেরপুরের বাজিতখিলা গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে দাফন করা হবে। দাফনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!