DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

তারেক ও সাদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা

saddi9ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে।  

 

অদ্য ২৩শে মার্চ'১৫, সকালে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি  ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী  বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।বাদী পক্ষের আইনজীবি এপিপি এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন এই মামলাটি উপস্থাপন করেন। সিএমএম  আদালতের ২৭নং কোর্টে বিচারক মোহাম্মদ ইউনূস খান এর এজলাসে এই মামলাটি গৃহিত হয়।

 

কোর্ট কর্মকর্তা   বলেন,  ‘জনাব তারেক রহমান ও জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে  পেনাল কোডের ১২৪(এ) /৪৯৯/৫০০ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।মামলার অভিযুক্তরা হলেন (১) বিএপির সিনিয়র ভাইন-চেয়ারম্যান তারেক রহমান,(২)বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী।এর আগে  ৫ জানুয়ারি'১৫ এ  লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেয়া কিছু বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন এবং তা  ইটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়।

এরপর ৬ জানুয়ারি'১৫ তারিখে তেজগাঁও থানার পুলিশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে সরকার ,শেখ মুজিবর রহমানকে রাজাকার বলা সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে জানুয়ারী ৩, ২০১৫ সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বহুল আলোচিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার মরহুম সিরাজ সিকদারের নিকটতম আত্মীয় , বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা এবং দলটির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী। ২ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে বন্দী অবস্থায় সিরাজ সিকদারকে হত্যার দায়ে তিনি এ দাবি জানিয়ে ছিলেন ।

 লিখিত  বিবৃতিতে সাদী বলেন, ‘আমি জাহিদ এফ সরদার সাদী বাংলাদেশের ন্যায় আর  সত্যের শক্তির পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের  মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাঁদের সন্তানদের তথা সর্ব জনসাধারণের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী, খুনি, একদলীয় (বাকশাল) শাসক, শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই, মরণোত্তর ফাঁসি চাই।’

 

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রথম বিপ্লব হয়েছিল ইংল্যান্ডে, তারপর একে একে ছড়িয়ে পরে গোটা পৃথিবীতে। সূচনাটা ভালোই ছিল কিন্তু রাজতন্ত্রের ক্ষমতা লোপ করে নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্বৈরাচারী হয়েছিলেন। ঠিক আমাদের দেশেও তাই ঘটেছিল এবং এখনো তাই ঘটে যাচ্ছে। তবে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। আইনের শাসন একদিন প্রতিষ্ঠা হবেই হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ডের ক্রমওয়েল রাজতন্ত্রের ক্ষমতা লোপ করে নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্বৈরাচারী হয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক জনতা তাকে ক্ষমা করেনি। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হয়েছিল মৃত্যুর পর। এই বিচার প্রিভি কাউন্সিল পর্যন্ত গড়িয়েছিল এবং তার ফাঁসি হয়েছিল। কবর থেকে তার হাড়গোড় তুলে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছিল। এটাই হলো আইনের শাসন।’

 

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি'১৫ এ  শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান  এবং ৪ঠা ফেব্রুয়ারী'২০১৪ জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী, শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি এ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।তারই ফলশ্রতিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা টি দায়ের করা হলো।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!