DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সরকার বিরোধী আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি সহ ২০ দলীয় জোট

 

104131_1নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে বিএনপি ঢাকা মহানগরের নেতারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৫ জানুয়ারি কালো দিবস  পালন করতে মহানগর নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

শনিবার রাতে বেগম জিয়ার সাথে তার বাসভবনে এক ঘন্টার মিটিং চলে। এ সময় দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব-উন- নবী খাঁন সোহেল উপস্থিত ছিলেন।


সরকার বিরোধী সমাবেশ সোহরাওর্দী উদ্যান অথবা দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজনের জন্য আবেদন করা হবে। যদি অনুমতি না দেয়া হয় তবে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সিনিয়র এক নেতা জানান।বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা এ মিটিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। মিটিংটি মূলত সমাবেশ করাকে নিয়ে, সমাবেশে বাধা দেয়া হলে হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানা যায়। মির্জা ফখরুল নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এ বিষয়ে ২০দলের মহা সচিবদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তাছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ দুনীর্তি মামলায় দলীয় প্রধানের হাজিরা উপলক্ষ্যে ২৪শে ডিসেম্বর  নেতাকর্মীরা ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরায় ঢাকা মহানগর শাখার বিভিন্ন অঙ্গ ও সংগঠন শোডাউন সফল করতে জড়ো হবেন।

শনিবারে মিটিংয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়াও যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল বারী বাবু , মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা শাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রে জানা যায়, ২৪ শে ডিসেম্বর ঢাকায় লক্ষাধিক মানুষ জড়ো করার প্রস্তুাতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। কর্মসূচি সফর করতে মহানগর ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতেও নেতা কর্মীদের আনা হবে। স্থানীয় নেতাদেরও ইতিমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঢাকায় আসার জন্য প্রস্তুতি নিতে।

জিয়া চেরিটেবল ও অরফানেজ দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে বিচার অভিযোগ গঠন করা হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, বিএপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগিনা মমিনুর রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির সাবেক আইনজীবী কাজী সেলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া বাকি তিনজন হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলামও রয়েছেন।

একটি কাগজের উপর ভিত্তি করে অবৈধভাবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠনের ২ দশমিক ১ কোটি টাকা অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়াসহ চার জনকে অভিযুক্ত করে জিয়া চেরিটেবল ট্রাষ্ট মামলা দায়ের করেন।

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আ’লীগের নেতা কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ১৫টি দুর্নীতি মামলাসহ মোট আ’লীগ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা আট হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীরা সংগঠনের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃতে বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরের সাথে মিটিং করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!