DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দেশনায়ক তারেক রহমান বনাম আওয়ামী লীগ

97609_1 শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে লণ্ডনে বসে বক্তব্য দেওয়ার প্রেক্ষিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে বসে একের পর এক মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাকে আইনী প্রক্রিয়ায় দেশে এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

 

বুধবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে ‘৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে ‘স্বাধীনতাকামী মানুষের হত্যাকারী’ বলেও আখ্যায়িত করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, শেখ মুজিব একজন পাকিস্তানি নাগরিক হিসাবে এসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন। একজন পাকিস্তানি নাগরিক কেমন করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিলেন সেই প্রশ্নের আইনগত নিষ্পত্তির জন্য শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হওয়া জরুরি বলে দাবি করেন তারেক।এ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঝড় ওঠে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

তারেক রহমানের এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমান অর্বাচীন, অজ্ঞ তার সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, সে বিদেশে বলে অকালপক্ব কথা বলছে। সে একটা বেয়াদব। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।


বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘ইঁচড়ে পাকা ও কাপুরুষ’ আখ্যায়িত করে ‘সাহস থাকলে’ তাকে দেশে এসে আইনের মুখোমুখি হতে বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেকের বক্তব্য ‘মিথ্যাচার এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’।

তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার করা উচিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তারেক রহমান প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে বসে একের পর এক মিথ্যাচার করছে। সে বিদেশে বলে অকালপক্ব কথা বলছে। সে একটা বেয়াদব। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, মিথ্যাচার ও উদ্ধতের একটা সীমা আছে। যারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দুর্নীতি করেছে তারাই বিএনপিকে ধ্বংস করেছে।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে অর্বাচীনের মতো কথা বলে যাচ্ছে। মানুষ যখন উন্মাদ হয়, তখন এ সমস্ত কথা বলে। শাজাহান খান প্রশ্ন রেখে বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে এসেছেন, এটা তারেক রহমান জানল কী করে? বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান থেকে আসেন তখন ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পাকিস্তানী পাসপোর্টে আসেননি। নৌমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার পল্টন ময়দানে যখন জামায়াতে ইসলামের রোকনদের সম্মেলন হয়েছিল, সেই সম্মেলনে তারেক রহমান এবং বিএনপির নেতারা বলেছিল- বিএনপি ও জামায়াত একই পরিবার। উনাদের পরিবারের লোক- যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার হচ্ছে, তখন তো তারা উন্মাদ হবেই, তখন তারা অর্বাচীনের মতো কথা বলবে- এটাই স্বাভাবিক।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ‘জঙ্গিবাদের জন্ম দাতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমে প্রতিদিন জঙ্গি ধরা পরার খবর আসছে। এ সব জঙ্গির লালন-পালন করেছে তারেক রহমান।

তারেক রহমানকে বেয়াদব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এ বেয়াদবের কথার উত্তর দিতে মন চায় না। সাহস থাকলে দেশে আসুন। দেখি কতো সাহস। পলাতক ফেরারি আসামি হয়ে ভন্ডামী করে বিদেশে আর কতদিন পালিয়ে থাকবেন? একদিন অবশ্যই আপনাকে বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!