DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন আর নেই

motinআমাদের ৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক আব্দুল মতিন আর নেই (ইন্না লিল্লাহে….রাজেউন)। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপাসন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এর আগে স্ট্রোক হওয়ায় আবদুল মতিনকে গত সোমবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে।

এরপর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) মতিনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বুধবার দুপুরে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।

আবদুল মতিন দুই মেয়ের সঙ্গে মোহাম্মদপুরে থাকতেন। তার জন্ম ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামে। ১৯৫২ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য তাকে ‘ভাষা মতিন’ নামেই চিনত সারা বাংলাদেশ।

এদিকে তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ, ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দান করে গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক চিঠির মাধ্যমে মতিন মরণোত্তর দেহদানের কথা জানান।

ভাষা মতিনের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি আবদুল মতিন, পিতা-মৃত আবদুল জলিল, মাতা-মৃত আমেনা খাতুন স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!