DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নারায়নগন্জের সাত খুনে র‌্যাবের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার

7-murders-narayanganjনারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় ল্যান্স নায়েক রুহুল আমিন নামে র‌্যাবের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পটুয়াখালীর বাউফল থানা পুলিশের সহযোগিতায় সমেশ্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আলোচিত এই সাত খুনের মামলায় র‌্যাব-১১ এর হাবিলদার এমদাদুল হক, আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক মো. হিরা মিয়া, মো. জালাল ওবং সিপাহী আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

এছাড়া সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা র‌্যাব-১১ এর সাবেক প্রধান (সিও) লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ ১৫ জন।

কারাবন্দি ওই তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তাদের সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়াও র‌্যাব-১১-এর ছয় সদস্য অপহরণ ও খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। এর ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। এতে প্রধান আসামি করা হয় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে। অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালও ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার আসামি র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া র‌্যাব-১১ এর ৬ সদস্য অপহরণ ও খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!