DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

৯/১১,টুইন টাওয়ার হামলায় নিহত বাংলাদেশীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী

daযুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছিলেন। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ওই বাংলাদেশীদের প্রতি দৈনিক প্রথম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী।

১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার  ১৩ বছর পূর্তি হল। নৃশংস ওই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশীর পরিচয় জানা গেছে। নিহতরা হলেন পেশাজীবি মোহাম্মদ সাদেক আলী, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্টের কর্মজীবি সাব্বির আহমেদ ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, নিউ ইয়র্কের বীমা খাতে কর্মরত আবু কাসেম চৌধুরী, প্রকৌশলী নুরুল হক মিয়া ও তার স্ত্রী শাকিলা ইয়াসমিন।

নাম জানা এরা ছাড়াও নিহত আরো অনেক বাংলাদেশীর মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। পশ্চিমাবিশ্ব সন্ত্রাসবাদের জন্য সবসময়ই বাংলাদেশের মতো সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম প্রধান দেশগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখে। অথচ, সন্ত্রাসবাদের বিকাশে পশ্চিমারাই নানান সময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। এই সন্ত্রাসবাদের ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশীরাও। টুইন টাওয়ারের হামলায় কমপক্ষে ৫০ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার একটি সামান্য দৃষ্টান্ত মাত্র।

সন্ত্রাসবাদ কায়েম করে বাংলাদেশীদের পদানত করে রাখার চেষ্টার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। নিজেদের পরিচয় ও অবস্থানকে সুসংহত করতে গিয়ে বাংলাদেশীদের সবসময়ই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। এবং ভবিষ্যৎ-এ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশের সমাজে সন্ত্রাসবাদকে চেনার আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টাও প্রতিদিনের। এই চেষ্টা যেমন দেশের ভেতরে চলছে তেমনি দেশের বাহিরেও। সমস্ত কিছুর পরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু গোষ্ঠী বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে সক্ষম হয়েছে। কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী আমাদের মনে সফলভাবে ভীতি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে।

ভীতি তৈরী করে কারোর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারাই সন্ত্রাসবাদ। সেই বিবেচনায় আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী আমাদের মানসে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে সক্ষম হয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার অন্যতম উপায়ই হচ্ছে সন্ত্রাসকে চেনা, সন্ত্রাসবাদকে চেনা। একই সাথে নিজেকে চেনাও জরুরী।

বাংলাদেশীরা প্রতি পদে পদে সন্ত্রাসবাদের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে। তাই, আমাদেরও অধিকার আছে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে কার কি ভূমিকা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী জন্ম দেয় এমন অভিযোগে লজ্জায় মাথা নত করে থাকার বাইরেও নিজেদের স্বার্থেই কতগুলো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরী কাজটি হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের অপরাধে অভিযুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!