DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দ্বিতীয় সংস্করণে, ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটিতে সামান্য পরিবর্তন আনলেন এ কে খন্দকার

 সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধীনায়ক ও আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার রচিত ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ গ্রন্থ নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। এরই সূত্র ধরে তিনি তার বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন।

বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন ‘বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম “এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল জয় পাকিস্তান।” আসলে তা হবে, “এই ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল জয় বাংলা জয় পাকিস্তান।”

এ কে খন্দকার ওই ভূমিকায় আরও লিখেছেন, ‌‘দ্বিতীয় সংস্করণের সুযোগে এই সংশোধন করা সম্ভব হলো। সহৃদয় পাঠক এই বইয়ে অন্য কোনো ধরনের ক্রুটি আমার নজরে আনলে বাধিত হবো।’

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকারের (বীর উত্তম) ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। বইটি প্রকাশিত হয় প্রথমা প্রকাশন থেকে।

প্রকাশনার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর বইটির বিষয়ে তুমুল সমালোচনা করা হয় জাতীয় সংসদে এবং বইটি বাজেয়াপ্ত এবং ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে তার বিচার করার দাবি জানানো হয়।

 এই বইতে এ কে খন্দকার লিখেছেন, ‘ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার ঠিক আগে শেখ সাহেব ইপিআরের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন। এই তথ্যটি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ (পৃ. ৫৭)

একে খন্দকার এ বিষয়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদেরও উদ্ধৃতি দিয়েছেন : ‘একদিন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ‘স্যার, বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে আপনি কি তাঁর কাছ থেকে কোন নির্দেশনা পেয়েছিলেন?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘না, আমি কোন নির্দেশ পাইনি’ (পৃ. ৪৩)।

বইটির ৫৩ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা কথা বলেন। সেগুলো সত্য কী অসত্য, তা জানার উপায় নেই। এগুলোর পক্ষে বা বিপক্ষে কেউ কোন দলিল উপস্থাপন করেননি। আমার মনে হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা আবেগপ্রসূত।’

৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে এ কে খন্দকার লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন।

এই পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের কোন চাপ কাজ করেছে কিনা তা জানাতে তিনি অস্বিকৃতি জানান।

সেসময় নিজের লেখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে একে খন্দকার বীর উত্তম বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যা দেখেছি তা-ই লিখেছি। সত্য প্রকাশে অনড় হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় গৃহীত পরিকল্পনার সঙ্গে সব কিছু খাপ খায়নি। শুরুতে যখন গেরিলা যোদ্ধা নেয়া শুরু হয় তখন একটি দল থেকেই নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল তারা যথেষ্ট পরিমাণে যোগ্য নন। পাঁচ মাস পর যোগ্যতার ভিত্তিতে গেরিলা নিয়োগ শুরু হয়।জীবন থাকতে তিনি সত্য প্রকাশে অনঢ় থাকবেন বলে জানান জনাব খন্দকার।

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!