DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সেভেন মার্ডার কেসঃ কলকাতায় নিজ বাড়িতেই আছেন গডফাদার নূর হোসেন!

nur_hosenআলোচিত সাত হত্যাকান্ডের হোতা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে ঘটনার এতদিনেও গ্রেফতার করতে না পারায় তার অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গেছেন, আবার কেউ বলছেন তাকে গুম করা হতে পারে। তবে নূর হোসেনের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

 

একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, নূর হোসেন কলকাতায় তার কেনা বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। কলকাতার সে এলাকা ও বাসার ঠিকানা শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কারও মতে ইন্ডিয়া হয়ে দুবাই, মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যেতে পারেন নূর হোসেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনের লাশ ভেসে ওঠার পর নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যান।

রাতারাতি তিনি যশোরের বেনাপোল পৌঁছেন। সেখানে তার বিশ্বস্ত কর্মচারী কামাল হোসেনের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের হরিদাসপুর এলাকায় পৌঁছেন। সেখান থেকে অবস্থান নেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। এরই মধ্যে নূর হোসেনকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগে কামাল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কলকাতা শহরের অদূরে কোনো এক এলাকায় নূর হোসেনের কেনা একটি বাড়ি আছে বলে শোনা যাচ্ছে। নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটিও একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন।

 

তদন্তসংশ্লিষ্টদের ধারণা, কলকাতার ওই বাড়িতে আত্মগোপন করেছে নূর হোসেন। সপ্তাহখানেক আগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসানও গণমাধ্যমে বলেছিলেন নূর হোসেন ভারতে আত্মগোপনে আছে। জানা গেছে,  নূর হোসেনের কথিত স্ত্রী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাও তার কলকাতার বাড়ির বিষয়ে জানতে পারেন।

কিছুদিন আগে নীলা চিকিৎসা NILA0সংক্রান্ত কাজে ভারতে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় নূর হোসেন নীলাকে ফোন করে বলেছিল, তুমি কলকাতায় থাক, আমি আসছি। তোমাকে আর দেশে আসতে হবে না। নূর হোসেনের এ কথা শুনে নীলা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসেন। এসে জানতে পারেন নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাতজনকে অপহরণের পর হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি। 



এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে মামলার ৩ নম্বর আসামি হাসমত আলী হাসুকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বীকার করলেও চার দিনে হাসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এটা নিয়েও নতুন একটা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ নূর হোসেনের কলকাতার অবস্থান হাসুর জানার কথা। হাসুকে স্থানীয় অনেকে নূর হোসেনের ক্যাশিয়ারও বলত।

নিহতদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, অপহরণের পর থেকেই মূলহোতা হিসেবে নূর হোসেনের নাম আসে। পর্যায়ক্রমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়। এতসব অভিযোগের পরও প্রকাশ্যেই ছিলেন নূর হোসেন। পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। শীতলক্ষ্যা থেকে অপহৃত সাতজনের লাশ উদ্ধারের পর ওই রাতেই পালিয়ে যান নূর হোসেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!