DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

গত ডিসেন্বরে বিজেপি আমন্ত্রীত বিএনপি প্রতিনিধীর ভিসা বাতিল করেছিল ভারত সরকার!

narendra_modi--621খবরটি যখন নরেন্দ্র মোদির কাছে পৌঁছায় তখন তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, এ কোন ভদ্রতা! এ কোন শিষ্টাচার? দাওয়াত করলাম আমরা। দায়িত্ব তো আমাদের। কোন যুক্তিতে ভিসা বাতিল করলো ভারতীয় হাইকমিশন। তারা তো আমাদের মতামত নিতে পারতো। 



গেল বছরের শেষের দিকের ঘটনা। বিজেপির এক বিশেষ বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ পেয়ে বিএনপি তাদের একজন প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা থেকে নয়, লন্ডন থেকে একজনকে বাছাই করা হয়। যথারীতি তিনি লন্ডনস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করেন। সঙ্গে আমন্ত্রণ পত্র।

ভারতীয় হাইকমিশন কোনও ওজর-আপত্তি না করেই এক সপ্তাহ পরে ভিসা সংগ্রহ করার কথা জানায়। এক সপ্তাহ পর বিএনপির ওই প্রতিনিধি ভিসা আনতে যান। ভিসা কর্মকর্তার সামনে যেতেই তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আগে ভেতর থেকে ওই কর্মকর্তার কাছে একটি ফোন আসে।

তিনি পাসপোর্ট নিয়ে ফের ভেতরে যান। ১০ মিনিট পর ফিরে এসে বলেন, সরি স্যার। আমাকে ভিসা বাতিল করতে হলো। কি কারণে বাতিল? বিএনপি প্রতিনিধি বারবার জানতে চাইলেন। ভিসা কর্মকর্তা নীরব। এক পর্যায়ে শুধু বললেন, আমার হাতে কিছু নেই। উপর থেকে নির্দেশ এসেছে। তাই ভিসা বাতিল করতে হলো। 



ফিরে এসে বিএনপির নেতৃত্বকে জানান ওই প্রতিনিধি। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। বিজেপির লন্ডন অফিসকে জানানো হয় ঘটনাটি। তারা বিস্মিত, সেই সঙ্গে ক্ষুব্ধও হন। তাদের এক নেতা তখন বলেন, দলের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানানো হবে বিষয়টি। সে মতে যথারীতি নরেন্দ্র মোদির কানে যায় বিষয়টি। মোদি শুনে হতবাক। 



বিজেপির এক নেতাকে বলেন, ওয়েট অ্যান্ড সি। এখনই এ নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই। লন্ডন বিজেপির অফিস থেকে এরপর বলা হয়নি আর কিছু। এখানেই থেমে যায় সে যোগাযোগের আয়োজন। 



কি কারণে কংগ্রেস সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অনুমান করা হয়তো কঠিন কিছু নয়। সবার জানা, কংগ্রেসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক কেমন। পার্টি টু পার্টি এই সম্পর্ক ঐতিহাসিক বটে। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধের সময় দু’টি দল কাজ করেছে একসঙ্গে। তখন থেকে পরস্পরকে ভালভাবে চেনাজানা, অন্তরঙ্গতা। এজন্যই ভারতে খালেদা জিয়ার সফরের সময় তাকে সাক্ষাৎ দেননি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

তবে কংগ্রেস নিয়েছে, দেয়নি কিছুই। বলাবলি আছে এক ঝুড়িতেই কংগ্রেস বরাবর আম রেখেছে। এ কারণে কংগ্রেস নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগকে খুশী করলেও বাংলাদেশের জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। 



এরকমই এক ভূমিকা নিয়ে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে সাহায্য করে তারা। এ জন্য তাদের পরীক্ষিত বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পর্যন্ত সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। এখন মোদির পালা। শিগগিরই দেখা যাবে তার ঝুড়িতে কত আম, কোন কোন আম।  

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!