DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ব্রাজিল বিশ্বকাপ মাত করবে যে সব প্রযুক্তি

Exo-skeleton-in-lab-at-Du-016-300x168১২ জুন ব্রাজিলের সাওপাওলো স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৫টায় ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ যাত্রা শুরু হবে ‘দি গ্রেটেস্ট কনটেস্ট অন দ্যা আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের। তবে এই ম্যাচ শুরুর আগেও বিশ্বকে আরো অনেক নতুন কিছুর সাথে পরিচিত করিয়ে দেবে আয়োজকরা।

ম্যাচ শুরুর আগে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত একটি ছেলে প্রযুক্তির সাথে হেঁটে যাবে মাঠে মাঝ বরাবর। মেশিনের সাহায্যে কেবল মনের ইচ্ছা দিয়েই হাঁটবে সে। কিক করবে বলে। এরই মধ্যে দিয়েই হবে মাঠের খেলার উদ্বোধন। একইসাথে নিউরোসাইন্স ও মেডিকেল প্রযুক্তির নতুন ধারার সাথে পরিচিত হবে বিশ্ব।



ব্রাজিল বিশ্বকাপে এমন অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ফুটবল বিশ্ব এর আগে কখনোই দেখেনি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য যে বলটি তৈরি হয়েছে, সেটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। এছাড়া বলটির সাথে যুক্ত রয়েছে একটি মোশন মেশিন। গেললাইন অতিক্রম করার সাথে সাথে এটি কাজ শুরু করবে। রয়েছে গোল লাইন প্রযুক্তি ও খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার যন্ত্র।

মাঠে এমন অনেক যন্ত্র থাকবে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স, আচার-আচরণ, অঙ্গভঙ্গি রেকর্ড করবে। যা ম্যাচের সময়ে ও ম্যাচ পরবর্তী সময়ে বিশ্লেষণ করা হবে। এত এত প্র্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এরই মধ্যে প্রযুক্তিবিদ ব্রাজিল ফুটবল বিশ্বকাপকে প্রযুক্তির বিশ্বকাপ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

অবশ্য এমন সব প্রযুক্তির কারণে কম সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে না আয়োজকদের। তবে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে বল জাবুলানি নিয়ে। পুরোমাত্রায় প্রযুক্তিক জাবুলানি এই বিশ্বকাপে গোলরক্ষকদের জন্য ডেকে আনবে দূর্যোগ এমনটাই মনে করেন ব্রাজিল দলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার। একইভাবে এই বলটিকে ধরা ও আয়ত্বে আনা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছে ইতালী দলের গোলরক্ষক বুফন। কারণ প্রযুক্তি বলটিকে অতি গতি, বাঁক ও ফ্লাইট দেবে বলে মনে করেন তারা।

২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ভূভুজোলার বাইরেও সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল জার্মানি-ইংল্যান্ডের ম্যাচটি। ম্যাচে ফ্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দীর্ঘ শটে বল গোল লাইন অতিক্রম করলেও গোল দেননি রেফারী। ম্যাচে ইংল্যান্ডে হারে ৪-১ গোলের ব্যবধানে। বলা হয়, ঐ গোলটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।

এর পর থেকে গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় ফিফাকে নানান সমালোচনার মুখোমুখী হতে হয়েছে।

গোলের সমস্যা সমাধানে ফিফার উপর বিভিন্ন সময় চাপও তৈরি করেছে দলগুলো। ফলে ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেখা যাবে গোল লাইন প্রযুক্তি। জার্মান প্রযুক্তি কোম্পানি গোলকন্টোল ব্রাজিল বিশ্বকাপে গোলবারগুলোতে এমন ক্যামেরা ব্যবহার করবে, যা বল গোল লাইন অতিক্রম করার সাথে সাথে সংকেত পাঠাবে। গোলের সমস্যা সমাধানে এই প্রযুক্তিটি শতভাগ সফল বলে দাবি গোলকন্টোল প্রতিষ্ঠানটির।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!