অপবাদ না কলঙ্ক, তা নিয়ে হয়তো বাংলা অভিধান খুলতে হতে পারে। কোন শব্দটির প্রয়োগ স্টেইন আর তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য যথার্থ হবে, তা নিয়ে গবেষণাও করা যেতে পারে। এ যে কয়েক যুগের কালিমা। সেই ‘কালিমার’ উপমা দেয়া কী এত সহজ!
দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই ব্যালান্সড এক দল। যে দলে সব সময়ই খুঁজে পাওয়া যায় বলে ঝড় তুলতে পারা পেসার, যে কোনো সময় ম্যাচ বের করে আনার মতো ব্যাটসম্যান। আর দুর্দান্ত সব ফিল্ডার। বড় প্রতিযোগিতায় খেলতে আসার আগে তাদের বোর্ডকর্তারাও হেলাফেলা করেন না। ক্রিকেটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে তাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। খেলতে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই অনেকে ফেভারিট বলে ঘোষণা দিয়ে দেন। কিন্তু খেলা মাঠে গড়ালেই শুরু হয় তাদের হোঁচট খাওয়ার পালা। ‘অদৃশ্য এক অপশক্তি’র কারণে কোথায় যেন হারিয়ে যান তারা। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এমন শঙ্কা হানা দিয়েছিল। নবাগত হংকং প্রায় তাদের হারিয়েই দিয়েছিল। কোনমতে পার পেয়েছে তারা। আর তাতেই আশা জাগছে আফ্রিকানদের মনে- এবার হয়তো অপবাদ ঘুচার দিন এসেছে!
অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে আজ বড় বাধার নাম ভারত। খেলা হবে মিরপুরে, সন্ধ্যা সাতটায়।
ভারতের স্পিনজালকে ছিন্ন করতে অনেক কিছুই করতে হবে ডি-প্লেসিসদের। এই প্রতিযোগিতার প্রথম চ্যাম্পিয়ন ধোনিরা। তাই তাদের অভিজ্ঞতাটাও একটু বেশি। তাছাড়া এবার বিরাট কোহলিদের শরীরী ভাষা আর মাঠের খেলা এক প্রকার অপ্রতিরোধ্যই মনে হচ্ছে। লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র আছেন তার সেরা সময়ে। রবীচন্দন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা ফিরেছেন ছন্দে। গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের নায়ক যুবরাজ সিং ফণা তুলতে শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ থেকে। বিরাট আছেন নিজরুপে। এত প্রতিকূলতার মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকানরাও হয়তো প্রস্তুত আছেন। তাদের রয়েছে আমলার মতো ব্যাটসম্যান, স্টেইনের মতো বোলার। তবু বারবার ফিরে আসে সেই পুরনো ‘ভূত’-চোকার! আর তাই হয়তো চূড়ান্ত জয়ের আগে আনন্দে ভাসা থেকে বিরতই আছেন নেলসন ম্যান্ডেলার উত্তরসূরিরা।