DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

মহারণে বিজয়ী ভারত

1_61062ঢাকার অলিগলি হয়ে রাজপথের মুখগুলো শুক্রবার মিশেছিল মিরপুরে। সংক্ষিপ্ত হয়ে সেটা শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্রোতের মতো মানুষ সে পথে। সবারই গন্তব্য শেরেবাংলায়_ ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ। স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়েছিল লাখের ওপরে মানুষ। ভেতরে ঢুকেছেন বড়জোর ২৫ হাজার। বাকিরা ফুটপাত আর সড়কদ্বীপের দর্শক। খেলা দেখতে না পেলেও তারা ওঠেননি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ তাদের ধরে রেখেছে চুম্বকের মতো। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের টান এমনই। খেলা ঢাকায় হলে যা, লাহোর-দিলি্লতে হলেও একই। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে ১৬ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হলেও উত্তাপটা ছড়াল গতকাল। ভারত-পাকিস্তানের পালকিতে করে সেটা এলো ব্লীপে। সুপার টেনের শুরুও তাদের ম্যাচে। হেঁটে চলা বিশ্বকাপ এখন দৌড়াবে। মিরপুর হয়ে থাকবে পুরো টুর্নামেন্টের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ব ক্রিকেটের চার সেরা দলের সঙ্গে বাংলাদেশ খেলবে এই ভেন্যুতে। এরই মধ্যে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নের খেলা দেখে ফেলেছেন দর্শক। মিরপুরের খেলা প্রতিদিনই দর্শক টানবে। কিন্তু সেটা ভারত-পাকিস্তানের মতো নয়। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে জিতল ভারত।

 

এক মাসে দুইবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য হলো ঢাকার দর্শকদের। এশিয়া কাপের ম্যাচ খেলেছে ১ মার্চ। শুক্রবার খেলল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ম্যাচ। ৫০ ওভারের খেলায় জিতেছিল পাকিস্তান। ২০ ওভারের ম্যাচে ভারত জিতেছে ৭ উইকেটে। চাপের খেলা খেলতে গেলে কঠিন। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সেটা আরেকবার প্রমাণ হলো। ২০ ওভার খেলে পাকিস্তান করল ১৩০ রান। এই রান তাড়া করতেও চ্যালেঞ্জে পড়েছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয়ই পেয়েছে তারা। মহেন্দ্র সিং ধোনির শক্তি ব্যাটিংয়ে। ভারত জিতলে ব্যাটসম্যানদের হাত ধরে জেতে। সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি এবং ধোনি ভারতের ব্যাটিং পিলার। পাকিস্তানকে হারাতে গতকাল ধোনি পর্যন্ত যেতে হয়নি। ওপরের ব্যাটসম্যানরাই খেলাটা শেষ করে এসেছেন। শর্মা ২৪, ধাওয়ান ৩০, কোহলি অপরাজিত ৩৬, রায়নার হার না মানা ৩৫ রানে ভারত জিতেছে ৭ উইকেটে। তখনও তাদের হাতে ছিল ৯ বল। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে কখনও হারেনি ভারত। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রেকর্ড ধরে রাখল। পাকিস্তানও ধরে রাখল বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের রেকর্ড। ভারতের কাছে টস হেরে ব্যাটিং পায় পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পড়ে। ৪৭ রানে পড়ে আরও ২ উইকেট। চাপের ওপরে চাপ পাকিস্তান শিবিরে। কামরান আকমল রানআউট হলেন নিজের ভুলে। মোহাম্মদ হাফিজের ক্যাচ ফেললেন যুবরাজ। তবুও হাফিজ নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। ৫ রানকে ১৫ রানে শেষ করলেন। অধিনায়কের অনুসরণ করলেন আহমেদ শেহজাদ। উমর আকমল, শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদি বল তুলে দিয়েছেন ফিল্ডারদের হাতে। শেহজাদ ২২, আকমল ৩৩ রান করেন। আফ্রিদি স্ট্রোক প্লেয়ার হিসেবেই পরিচিত। অসুরের শক্তি শরীরে। এশিয়া কাপে তার হাতেই খুন হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশের বোলাররা। সে আফ্রিদির ৮ রান করতে লাগল ১০ বল। শেষ দিকে মাকসুদ ১১ বলে ২১ রান না করলে পাকিস্তানের স্কোর ১৩০ হয় না। খেলার আগের সংবাদ সম্মেলনে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন, তার দলের দুর্বলতা বোলিংয়ে। সে বোলাররাই প্রথম দিন সফল।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!