DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

একশ কোটি টাকা ‘চাঁদা’ পাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী

image_81007_0১৬ মার্চ শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে একশ কোটি টাকা অনুদান নেবে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চার ভাগে বৈঠক করেছেন। রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে চার ধাপে বৈঠককারী ব্যবসায়ীরা হচ্ছে- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ী, জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ী ও টেলিকম অপারেটররা। এদিন বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের সময় এক দিনের বৈঠকে সব টাকা ম্যানেজ হয়ে যায়। সে সময় আমরা রেডিসনে একটি মাত্র বৈঠক করেছি। কিন্তু এ বারের ব্যয় বেশি। তাই দাতার পরিমাণও বেশি লাগবে। এখন আর এক মিটিংয়ে হবে না। আলাদা আলাদা বসার প্রয়োজন আছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১০০-১১৫ কোটি টাকা লাগতে পারে। এর জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চার ভাগে বৈঠক করেছি। টাকাও ম্যানেজ হয়েছে।’ তবে ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে বিদেশি ব্যাংকগুলোকে ডাকা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।  

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো মাঝে মধ্যেই চাঁদাটাদা তুলি। গত বিশ্বকাপেও এক বৈঠকে ৬০ কোটি টাকা তুলেছিলাম। এবার ব্যয় বেশি, তাই বিভিন্ন খাতের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করলাম।’

তিনি বলেন, ‘এইচএসবিসি, বসুন্ধরা, স্কয়ার এক কোটি করে দেবে বলেছে। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে অনেকেই তো ভালো কামিয়েছেন, তাদের কাছ থেকেও কিছু চাঁদা নেয়া যেতেই পারে। তবে আগের বার যারা বেশি টাকা দিয়েছেন তাদেরকে এবার তেমন চাপ দেয়া হচ্ছে না।’

জানা গেছে, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ব্যংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ২০ কোটি টাকা। জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া হবে ১৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে টেলিকম অপরারেটরদের কাছ থেকে। এক্ষেত্রে অনুদানের টাকায় কোনো ট্যাক্স না নেয়ার জন্য একটি এসআরও জারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে।  

অনুদান প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পাঁচটি স্টেডিয়াম সংস্কার ও দুটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা। এছাড়াও বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যয়ও স্বাগতিক সরকারের বহন করতে হবে বলে আলাদা করে ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!