DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কিংবদন্তি গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কিংবদন্তি গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনিকার ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন (ইন্না…রাজিউন)। আজ সকাল ৭টা ৩০ ‍মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

গীতিকবির ভাগনে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জয় বলেন, মামা গত দু’দিন ধরে শারীরিকভাবে খানিকটা অসুস্থ ছিলেন। তবে সেটি উল্লেখযোগ্য কিছু ছিলো না। বার্ধক্যজনিত কিছু ছোট জটিলতা ছিল। আজ সকালে আল্ট্রাসাউন্ড করার কথা ছিল খালি পেটে। ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। সেখানেই মাথা ঘুরে পড়ে যান এবং জ্ঞ‍ান হারান। ছেলে উপল আনোয়ার মামাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

চিকিৎসকরা চেষ্টা করেন। তবে আর লাভ হয়নি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’-সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের এই রচয়িতা গীতিকবি সংঘের আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। এছাড়াও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার বাচসাস পুরস্কার, বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড, ডেইলি স্টার কর্তৃক লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ডসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১১০।

দীর্ঘ ৬০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় তার লেখা তিনটি গান রয়েছে। তার লেখা আরও কালজয়ী কিছু গান হলো—‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ প্রভৃতি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১টি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!