ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ঘোর বিরোধের জের ধরে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্ষুদে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক সহ ৫৮টি চীনা অ্যাপ ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে ভারত।
এবার একই পথে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনই আভাস দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
মাইক পম্পেও বলেছেন, টিকটকসহ চীনা অ্যাপগুলো নিষিদ্ধের বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) সামনে পড়ে যেতে চাই না, তাই বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাবছি এবং এটা খুবই গুরুত্ব সহকারে এটা দেখা হচ্ছে।
ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অ্যাপটি চীনের তৈরি এবং ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের কাছেই সংরক্ষিত থাকছে। তাই মার্কিন আইনপ্রণেতাদের আশঙ্কা, চীনা কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী কোম্পানিটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বা আইনবলে চীন কোম্পানিকে তথ্য দিতে বাধ্য করতে পারে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
তবে টিকটক বরাবরই বলে আসছে যে, এর ডাটা সেন্টার চীনা ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থিত এবং এসব ডাটার কোনোটিই চীনের আইনের আওতায় পড়ে না। টিকটক বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের ডাটা সেন্টারে জমা আছে। তাই এই ডাটা চীনে পাচার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোম্পানিটির মতে, যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি তুলেছে তা ভিত্তিহীন।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ, প্রায় দুই বছর ধরে চলা বাণিজ্য যুদ্ধ এবং হংকং ইস্যুতে চীনে পাস হওয়া নতুন আইন নিয়ে বর্তমানে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের। তাই টিকটকসহ অন্যান্য চীনা অ্যাপে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা হবে মূলত এই বৈরী সম্পর্কের কারণেই।
এদিকে হংকং থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ক্ষুদে ভিডিও শেয়ারের এই চীনা অ্যাপ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, খুব শিগগিরই হংকং থেকে বিদায় নিচ্ছে টিকটক। মূলত আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকং ইস্যুতে চীনা নতুন আইনের অনুমোদন দেয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অ্যাপ কোম্পানিটি।