DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সু চি কে দেয়া পুরস্কার কেড়ে নিল দক্ষিণ কোরিয়া

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা-ধর্ষণ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার হারাচ্ছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলো দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার সংগঠন গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস পুরস্কার। মঙ্গলবার সু চিকে দেয়া পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতনের ব্যাপারে তার উদাসীনতার কারণে এটি তুলে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস নামের ওই মানবাধিকার সংগঠন। মিয়ানমারে সামরিক জান্তার হাতে গৃহবন্দি থাকার সময় ২০০৪ সালে সু চিকে এই পুরস্কারটি দিয়েছিল সংস্থাটি।

সু চির পুরস্কার প্রত্যাহার নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে সংস্থার মুখপাত্র চো জিন তায়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ব্যাপারে তার উদাসীনতা এ পুরস্কারের মূল্যবোধ পরিপন্থী। তাই আমরা এই পুরস্কার প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এলি উইজেল অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড, ফ্রিডম অব গ্লাসগো অ্যাওয়ার্ড, ইউনিসন অ্যাওয়ার্ড, এডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাওয়ার্ডসহ আরো বেশ কয়েকটি পুরস্কার হারিয়েছেন।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় কয়েক মেয়াদে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন সু চি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস লড়াই-সংগ্রামের নজির স্থাপনের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান তিনি।

গত বছর মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস নিপীড়ন গণহত্যা-ধর্ষণের মাধ্যমে জাতিগত নিধন অভিযান শুর করেন দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।

সে ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পার হওয়ার পরেও এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সু চির সরকার। উল্টো সেনাবাহিনীর এমন নৃশংস ঘটনার পক্ষ নেয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েন সু চি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!