DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বেনজীরের বিষয়ে দুদকের ব্যবস্থা নেওয়া দরকারঃ টিআইবি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সংবাদপত্রে সাবেক আইজিপির বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের যে খতিয়ান প্রকাশিত হয়েছে, সেটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে খুবই অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

ইফতেখারুজ্জামান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ আহরণ বাংলাদেশে এখন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে । এই যে সাবেক আইজিপির বিশাল সম্পদের খতিয়ান প্রকাশিত হয়েছে, তা হতবাক করার বিষয়।"

"রিপোর্টে সম্পদের যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেটিকে নির্ভরযোগ্য বলতে হবে।"

তাদের কাছে (পত্রিকার) লিখিত প্রমাণ আছে বলেও মনে করেন তিনি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, "আমাদের জানামতে দুদক চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে যেটুকু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করতে পারে। এখন এটা কেন তারা করছে না, তা দুদকে (আপনারও) প্রশ্ন করা উচিত। তারা উত্তর দেবে, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে করবো। কিন্তু কেউ অভিযোগ করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নাই।"

এই ধরণের পরিস্থিতিতে দুদক কেন স্বপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা কি ব্যক্তির পরিচয় ও অবস্থানের কারণে, নাকি অন্য কোনও কারণে, এটা তার ঠিক বোধগম্য নয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, "একজন সাবেক সরকারির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশাল ধরণের অসামঞ্জস্য পূর্ণ সম্পদ আহরণের অভিযোগ উঠেছে । যা তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য না হওয়ার সম্ভবনা বেশ প্রকট। গণমাধ্যমে যেটুকু তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে দুদক পদপেক্ষ গ্রহণ করবে। এটা যেহেতু তাদের এখতিয়ার। কাজেই এই ক্ষেত্রে দুদক যদি সক্রিয়তা না দেখায়, তাহলে প্রশ্ন তাকে তারা কি দায়িত্ব পালন করতে পারছে? এতে দুদককে নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণের চাইতে বরং দুদকের ওপর জনগণের আস্থার সংকট আরও বেশি ঘনীভূত হবে।"

এখন রাষ্ট্রের করণীয় হলো কেউ যে বিচারের ঊর্ধ্বে নয় তা প্রমাণ করা’- বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, আইনগত প্রাতিষ্ঠানিক যে সক্ষমতা আছে তার যথাযথ প্রয়োগ করে দুর্নীতি দমন কমিশন অন্যান্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে তাকে জবাবহিদির জায়গায় নিয়ে আসা।

টিআইবির নির্বাহী প্রধান বলেন, "খুব সরল একটা বিষয় হচ্ছে, ব্যক্তি যেই হোক না কেন, তার একটা বৈধ আয় আছে। বেনজীর আহমেদ সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তার সম্ভাব্য যে বৈধ আয় হতে পারে, তার তুলনায় সম্পদের বিবরণী সম্পূর্ণভাবে অসামঞ্জস্য এটা খুবই পরিষ্কার। কাজেই এই অসামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়, যে সম্পদের মালিকানা তিনি এবং তার পরিবারের নামে অর্জিত হয়েছে, সেটা যদি বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য না হয় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।"

শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে সমাজে দুর্নীতি বাড়তে থাকবে উল্লেখ করে তিনি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!