DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বি-বাড়িয়া-৪:লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পরেও ভোটকেন্দ্রে আসবে না ভোটাররা

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হুলুস্থুল আখাউড়া – কসবায়। লাখ লাখ টাকা পুরস্কার। কোনো লটারি নয়, পুরস্কার মিলবে ৭ জানুয়ারির একতরফা পাতানো নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বেশি ভোটার উপস্থিতি করাতে পারলে। আর এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সেখানে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের জন্য করা ওয়ার্ড কমিটির নেতারা।

আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ নির্বাচনী এলাকা। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ২০১৪ ও ২০১৮তে বিনা ভোটে জয়ী হলেও এবার লোক দেখাতে ও পাতানো নির্বাচনে তাকে জয়ী করতে নতুন এই ফন্দি করেছে নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলা কসবা ও আখাউড়ার দলের নেতাকর্মীরা।

পাতানো নির্বাচনে ডামি প্রার্থী ২ জন রয়েছেন। তাদের একজন  ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান (আম) এবং আরেকজন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কদ্দুস (ফুলের মালা)। জাফরুলকে ক’দিন আগে খাড়েরা এলাকায় প্রচারণায় পাওয়া গেলেও শাহিন এলাকাতেই নেই।

সেখানকার ওয়ার্ড কমিটির জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যে ওয়ার্ড কমিটি তার কেন্দ্রে বেশি ভোটার উপস্থিত করতে পারবে তারা পাবে পুরস্কার। প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা। এভাবে ২য় পুরস্কার ৭৫ হাজার এবং ৩য় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৪/৫ দিন আগে দলের নেতাকর্মী এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের নিয়ে করা এক সভায় এই পুরস্কার ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. বাবুল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভোটাররা এই নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না বলছে। তাই  প্রত্যেক ইউনিয়ন এবং  পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মহোদয়। পুরো থানা এবং পৌরসভার নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, আমরা ভোটার আনার জন্য সেই কাজ করছি। কিন্তু সাড়া দিতেছে না ভোটাররা। তবে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল বিষয়টি স্বীকার করেননি। বলেন- আমাদের এমন কিছু করা হয়নি।

তবে নির্বাচনী এলাকাধীন আরেক উপজেলা কসবায় খোঁজ নিয়ে ভোটার আনতে বিশেষ কোনো উদ্যোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। এখানকার সাধারণ মানুষ বলেন তারা আর এই অবৈধ সরকার বা সরকারের কোন নেতাকে এই এলাকায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন না। তাই তারা ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।

সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা কসবা ও আখাউড়া নিয়ে এই নির্বাচনী আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ২৫৯০। এরমধ্যে আখাউড়া উপজেলার ভোটার ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৪ জন। কসবা উপজেলার ভোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!