DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আমার দেশে ফেরা নির্ভর করছে ভারত সরকারের উপরঃমুক্তির পর সালাউদ্দীন আহমেদ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ভারত সরকারের উপরই আমার দেশে ফেরা নির্ভর করছে। আট বছর তো থাকলাম। আর কত? পারলে এখনই নিজ জন্মভূমিতে ফিরতে চাই। কিন্তু কিছু পদ্ধতি আছে। ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতের  মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে খালাস পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুঠোফোনে মানবজমিনকে এমনটাই জানিয়েছেন। 
তিনি জানান, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেরিতে হলেও আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। খালাস সংক্রান্ত রায়ে ভারত সরকারকে মহামান্য আদালত নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, আমাকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। তাই ভারত সরকার যখন নির্ধারিত পদ্ধতি শেষ করে আমাকে ফেরত পাঠাবে তখনই যেতে পারবো। এর অন্যথা হবে না। 

রায় সর্ম্পকে সালাহউদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, ২০১৮ সালের ২৬শে অক্টোবর শিলংয়ের নিম্ন আদালতে আমি খালাস পেয়েছিলাম। কিন্তু ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে।

গতকাল (মঙ্গলবার) স্থানীয় আদালত ওই আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের রায়ে আমাকে বেকসুর খালাস দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

 

এর আগে ২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০১৫ সালের ১১ই মে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ম আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই সময় সালাহউদ্দিন আদালতে বলেছিলেন, ২০১৫ সালের মার্চে তাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে যায়। 

সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে ৮৫ ব্যাচের এ কর্মকর্তা পুরোপুরি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।

সূত্রঃ দৈনিক মানবজমিন

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!