DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপি এমপিদের পদত্যাগ বিতর্কিত করতেই সাত্তারকে নির্বাচনে এনেছে সরকার: রুমিন ফারহানা

 ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির পদত্যাগকারী  সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন,উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার উপনির্বাচনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

মিডনাইট হাসিনা সরকারের একটি চাপ আছে তার উপর। সরকার যেকোনো ভাবে আমাদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে চায়। সরকার সেটা সফলভাবে করেছে। তাকে চাপ দিয়ে এই নির্বাচনে আনা হয়েছে।

গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করবে। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, তিনি বারের সভাপতি। তিনি গিয়ে অকথ্য ভাষায় একজন বিচারককে গালাগাল করেছেন, তা কোনো অবস্থাতেই চলতে পারে না।

একই সঙ্গে এই কথা বলবো, আদালত আপনারা কি করেছেন! নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত যখনই দেখেছেন বিএনপি’র নেতাকর্মী, তাদেরকে জেলে ভরেছেন। যখনই দেখেছেন বিএনপি নেতাকর্মী তাদেরকে জামিন দেন নাই।

 সরকারের ইশারায় আপনারা চলেছেন, এখন সরকারের লোকরাই মনে করে আপনারা তাদের…আর বলতে চাই না। তিনি বলেন, বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার যদি দায়িত্ব পায়, বিএনপি কি ধরনের রাষ্ট্র দেখতে চায় তা ২৭ দফার মধ্যে দেয়া হয়েছে। এর আগে আমরা ১০ দফা দিয়েছি, সেই ১০ দফায় আমাদের সমপ্রতি যে কর্মসূচি তা বলেছি। আর ২৭ দফার শুরুতেই বলেছি সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কারণ আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে তাদের দলীয় বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা তারা এমনভাবে তৈরি করেছে, বলা হচ্ছে সেই ধারাগুলো ভবিষ্যতে পরিবর্তন করা যাবে না। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এধরনের কোনো ধারা সংবিধানে যুক্ত করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ভবিষ্যতে সংসদে কি আইন পাস করবে, সেই সংবিধান তারা কীভাবে রাখবে, সেই এখতিয়ার সংসদের আছে। আজকের সংসদ সেই সংসদের কোনো ভাবেই হাত বেঁধে ফেলতে পারে না।

 কোনো অবস্থাতেই তারা ঠিক করে দিতে পারে না ভবিষ্যতে একটি সংসদ কীভাবে সংবিধানকে সংশোধন করবে। তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন কতোবার আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখবো, আমরা কি কোনসময় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে পারবো না? আমার উত্তর খুব পরিষ্কার, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকবে। মানুষকে তার ভোট দিতে সুযোগ দিতে হবে, মানুষকে তার পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করার শক্তি দিতে হবে। যদি কোনো দেশে পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে সেই দেশে জনগণ কি থাকে সকল ক্ষমতার উৎস! জনগণ তাদের মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে। রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পর পর দুইবার কেউ  প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। এমন যুগান্তকারী ঘোষণা শুধু বিএনপি দিতে পারে। আওয়ামী লীগ তো শুধু হাসিনা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন পর্যন্তই তারা ক্ষমতায় থাকবে, তাদের ভাব দেখলে এমন মনে হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন-নবী খান সোহেল। উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সায়েদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, রফিক শিকদার, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!