DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সুস্থ না হয়েই বাসায় ফিরলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একনও পুরোপুরি সুস্থ নন। শারীরিক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ওমিক্রনের সংক্রমণ এড়াতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসায় পাঠিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বহরটি রওয়ানা হয়।

এর আগে এদিন দুপুরের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা: শাহাবুদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা: শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে তাকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। আগের মতো বাসায় রেখেই চিকিৎসার মনিটরিং করা হবে।’

মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় বাসা নেয়ার কথা রয়েছে। তবে বাসায় প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ে রাখা হবে। জটিলতা দেখা দিলে ফের হাসপাতালে আনা হবে।

খালেদা জিয়ার কিডনির জটিলতা কিছুটা সমাধান করা গেলেও, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এফ এম সিদ্দিকী।

অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনার ব্লাডিংয়ের চান্স, সিরোসিস অব লিভার সেটা কিন্তু রয়ে গেছে। এটার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা শুধু উনার ব্লিডিং স্পটগুলোকে মাইগ্রেশন করে বন্ধ করে রেখেছি। সেগুলো গত ছয় মাসে কী অবস্থা হয়েছে, আমরা কিন্তু ফলোআপ করতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ১০ জুন রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করানো হয়। পর দিন শনিবার সকালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করে জরুরিভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে দুপুরে অধ্যাপক ডা: শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম করা হলে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং বসানো হয়। এরপর আরো দু’টি ব্লক ধরা পড়ে তার।

১৪ জুন এক প্রশ্নে জবাবে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে বাকি দু’টি ব্লকে রিং পরানোর মতো শারীরিক অবস্থা নেই বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন। ওই দিন তিনি বলেন, এখনো বেগম খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!