DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

করোনা সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় : জাহিদ মালেক

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অবৈধ হাসিনা সরকারের  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা দেয়া। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অন্যসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন গত দেড় বছর ধরে অদৃশ্য শক্তির সাথে আমরা যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে। গ্রামের হাটবাজার-চায়ের দোকানে মানুষজনের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল তাদের করোনা হবে না; কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা উঠানোর পাশাপাশি সচেতনতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে হবে। সচেতনতার অভাবে আমরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছি। এ ছাড়া জ্বর-কাশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে। করোনা টেস্ট নিয়ে অনেকের মধ্যে অনাগ্রহ রয়েছে।


চলতি সপ্তাহে চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমাধ্যমকর্মীদের সাথে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান, মমতাজ বেগম, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলী, সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল আমীন আখন্দ, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান, কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক গৌতম রায়, মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, সারা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরো ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে নন কোভিড রোগীদের সঠিক ভাবে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও কূল পাওয়া যাবে না। সারা দেশে করোনা রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে। ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সাথে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে ও আগামী মাসে আরো এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পাশাপাশি আমাদের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় গ্রামের পর গ্রাম আক্রান্ত বাড়বে, হাসপাতালেও জায়গা পাওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেট হাসপাতাল ঘোষণা করেন। এ ছাড়া সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!