DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আগে নিজের ঘর সামলান,তারপর বিএনপি নিয়ে কথা বলুনঃআওয়ামী লীগকে মির্জা ফখরুল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিডনাইট হাসিনা সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করেই আছে এবং আপনাদের ওপর চড়াও হয়ে বসেছে বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করার আগে আপনারা আপনাদের নিজের ঘর সামলান।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কথা বলেন। তার কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই, কৌতুকবোধ করি। তার কথা বলার ভঙ্গি খুব সুন্দর। তার বসে থাকার ভঙ্গি খুব সুন্দর, তিনি যে আসনে বসে কথা বলেন সেটাও খুব সুন্দর। তিনি দেখতে অত্যন্ত সুদর্শন মানুষ। চমৎকার কটি পরেন, তার ওপরে নৌকা মার্কার পিন পরেন। সেটা কিসের আমরা জানি না। পত্রপত্রিকায় বের হয়েছে তার ঘড়িগুলো নাকি এক একটি ৩৬ লাখ, ৫২ লাখ, ১ কোটি এরকম দামের। আসলে দাম কত আমরা সেটা জানি না। তিনি গতকালও বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন। অন্যদিকে বলেন বিএনপি নাই। তাহলে প্রতিদিন বিএনপি সম্পর্কে কথা কেন বলেন? কারণ আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করে আছে এবং আপনাদের ওপর চড়াও হয়ে বসেছেন বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদেরতো লজ্জা হওয়া উচিৎ। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক সাহেবের। আপনার এলাকা বসুরহাট, আপনার এলাকা নোয়াখালী সেখানে কি হচ্ছে? আজকে পত্রিকায় আসছে, সেখানে একজন সাংবাদিকসহ যে দুজন খুন হয়েছেন, তাদের মধ্যে মৃত শ্রমিকের ভাই মামলা করতে গিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ তার মামলা নেয়নি। কাদের মির্জার বিপক্ষে মামলা নেয়নি। কারণ তিনিতো শুধু কাদের মির্জা নয়, তিনি বাংলাদেশের শক্তিশালী ক্ষমতাধর মানুষ ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভাই। কোথায় বিচার, কোথায় ন্যায়ের শাসন? তাই আমি বলেছি, বিএনপির সমালোচনা করার আগে আপনারা আপনাদের নিজের ঘর সামলান। প্রতিদিন যে মারামারি-লড়ালড়ি তা সামলান।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের বন্ধু ছিল না। আমার দুঃখ হয় যে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান আমলে দেখেছি আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছেন। আজকে আমাদের এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব উপস্থিত আছেন। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, ভিপি ছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের যে ভূমিকা আজকে তিনিও সেখানে থাকতে পারেননি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আজ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: ফারহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ট্রেজারার অধ্যাপক শাকিল, যুবদলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ-সভাপতি পার্থদেব মণ্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাফিজ), সাজিদ হাসান বাবু, পাভেল সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, রিয়াদ ইকবাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসলাম, ছাত্রদল নেতা সালেহ আদনান প্রমুখ।

অধ্যাপক ফারহাদ হোসেন ডোনার অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মেহেদি হাসান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!