DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করেন : আমির হোসেন আমু

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য,সাবেক মন্ত্রী এবং হালের অবৈধ সাংসদ আমির হোসেন আমু আজ বলেছেন, জিয়াউর রহমানই এ দেশে ক্ষমতা দখল ও নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করেন। তার সময়েই ব্যালট বাক্স হাইজ্যাকের সংস্কৃতি চালু হয়।

 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবারের নির্বাচনে আমাদের ইশহেতারের স্লোগান ছিল ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এটাও বাস্তবায়ন হবে। আমি নিজেই নিজের এলাকায় গ্রামগুলোর দ্রুত পাল্টে যাওয়া দেখে অবাক হয়ে যাই।

সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নানা কূটকৌশল অবলম্বন করছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এবার অংশ নিয়েও তারা সঠিকভাবে নির্বাচনটা করেনি। নির্বাচনের নামে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করল। বিএনপি বুঝে গেছে জনগণের ভোটে তাদের পক্ষে কোনোদিন ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিটি ক্ষেত্রে এ সরকারের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে চায়। সরকার যখন পদ্মা সেতু করে তখন বলে এটা আওয়ামী লীগের ব্রিজ। যখন বিনা পয়সায় বই দেয় তখন তারা ২ কোটি বই পুড়িয়ে দেয়। তারা ভেবেছিল এই বই আওয়ামী লীগের লোকজনের সন্তানেরা পড়বে। আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশে স্বাধীনতার চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনার সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার বাংলাদেশ পরিচালিত হতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনার সময়েই বঙ্গবন্ধু হত্যার ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।

আমু বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময় যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ছিলেন তারা সবাই ছিলেন খালেদা জিয়ার ঘরের লোক। ড. ফখরুদ্দীন, মইন উ আহমেদসহ সবাই ছিলেন খালেদা জিয়ার আমলে সুবিধাভোগী। খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন, তাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আবারও ক্ষমতায় যাবেন। কিন্তু জনগণ তার সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে।

গ্রামের পাল্টে যাওয়া দেখে নিজেই অবাক হই : আমুর আগে দেয়া বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাধীনতার চেতনা ধূলিসাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্ব মানচিত্রে আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, এবার যারা মন্ত্রী হয়েছেন তারা সবাই আদর্শবান, আমি মন থেকে তাদের সফলতা কামনা করি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, একদিকে বাংলার স্বাধীনতা, আরেক দিকে মানুষের মুক্তি প্রয়োজন। সেইদিন বেশি দূরে নয় যেইদিন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখনও টকশোসহ বিভিন্ন স্থানে কাউকে কাউকে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে একই পাল্লায় মাপার চেষ্টা করতে শুনি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে, আর শেখ হাসিনা গড়েন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে আর শেখ হাসিনা তাদের চিকিৎসার জন্য বার্ন হাসপাতাল গড়েন। বিএনপি-জামায়াত হেফাজতকে উসকে দিয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, শেখ হাসিনা দরিদ্র কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের মূল ধারায় আনতে তাদের সনদের স্বীকৃতি দেন। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়, শেখ হাসিনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলে। শেখ হাসিনা খুঁটি লাগিয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেন।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান কার্যক্রমে দেশবাসীর মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এর সুফল ভোগ করবে।

লিটন বলেন, সরকারের বাজেট যেমন বেড়েছে তেমনি কর্মপরিধিও বেড়েছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ফলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে বেকারত্ব দূর হবে।

কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের আমির আলামা আহমদ শফীকে নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

তিনি বলেছেন, ‘কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান মর্যাদা দিয়ে এই সংসদে আইন পাস হয়েছে। আইন পাস হওয়ার পর এ ধরনের মন্তব্য আমাদের একটু আহত করেছে। কারণ আমিও কওমি সন্তান।’

নদভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সবাই খুশি হয়েছেন, পুরো মুসলিম বিশ্ব খুশি হয়েছে, মুসলিম বিশ্বের ওলামারা খুশি হয়েছেন। শুধু একটা দল খুশি হয় নাই, সেটা হল জামায়াতে ইসলামী। কওমি স্বীকৃতি কওমি আকিদাতে তারা খুশি হতে পারেন নাই।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!