DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় বিএনপি: জার্মানীতে শেখ হাসিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃবাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং তারা এখনও সেটি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।‘তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য ছিল ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং তারা এখনও এর জন্য কঠোর চেষ্টা চালাচ্ছে,’ বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার হোটেল শেরাটন মিউনিখ আরাবেলা পার্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত মাত্র ২৮ টি আসন লাভ করেছে। ওই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন ছিল না। গত নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা আসলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কোনো চেষ্টাই করেননি।

সরকার প্রধান বলেন, গত কয়েক বছরে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পর তারা কিভাবে ২০০৮ সালের চেয়ে ভালো ফলাফল আশা করে? ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সারা দেশে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে যায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিকে মানুষ ভোট দেয়নি কারণ দুর্নীতিতে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তারা (বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য) বঙ্গবন্ধুর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডর পর ২৮ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে, কিন্তু হত্যা, সামরিক অভ্যুত্থান, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও স্বজনপ্রীতি জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।

নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল অংশ নিয়েছে….বিগত নির্বাচনগুলোতে এ ধরনের অংশগ্রহণ কখনও দেখা যায়নি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে গ্রাম থেকে শহরে, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। এমনকি ব্যবসায়ীরাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসে আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে, যা অতীতে কখনও হয়নি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে তার ছেলে তারেক ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান এবং গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং মানুষ কেন নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে সেটাই বড় প্রশ্ন।

নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারেন। আওয়ামী লীগের এতে কোনো আপত্তি নেই।

বিদেশের মাটিতে নিবেদিত সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখানে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন, স্কটল্যান্ড, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানি থেকে আগত বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী মিউনিখে জড়ো হন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, অল ইউরোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাশগুপ্ত প্রমুখ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

প্রসঙ্গত, মিউনিখে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিকে বৃহস্পতিবার জার্মানি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জার্মানি থেকে ফেরার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী-২০১৯ এ যোগ দেবেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার সময়সূচি রয়েছে। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!