DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন,ইন শা আল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিতঃদেশনায়ক তারেক রহমান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ,দেশনায়ক তারেক রহমান গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা, পৌরসভাসহ সকল পর্যায়ে যার যার অবস্থান থেকে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহনের উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেছেন,আমরা অতি শীঘ্রই আন্দোলনের ডাক দিবো। অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলনকে সফল করার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারব।পুনরুদ্ধার করতে পারবো আওয়ামী-বাকশালীদের ধ্বংশ করে দেয়া গনতন্ত্রকে।ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে আন্দোলনের মাঠে দেখা হবে।বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

তারেক রহমান বাংলাদেশের সকল যুব এবং তরুণ সমাজকে উদ্দেশ করে বলেন,আমার দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন শুরু করবে কিন্তু এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে তোমাদের এবং সফলকাম করতে হবে।সম্প্রতি বাংলাদেশে যেভাবে তোমরা কোটা এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছিলে।সেই আন্দোলনের মতোই করতে হবে আগামী দিনের আন্দোলন। যে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। তবে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে,যাতে করে মানুষ পুড়িয়ে,লাশের ওপর রাজনীতি করা আওয়ামীলীগ আমাদের সামনের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলনকে কোনভাবেই বিতর্কিত করতে না পারে। আমরা তাদের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।তিন বলেন, যে আন্দোলনের ডাক বিএনপিসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষ দিয়েছে তাতে সকলের আদর্শিক স্লোগানটি হওয়া উচিত “যদি তুমি ভয় পাও/তবে তুমি শেষ যদি/তুমি রুখে দাড়াও/তবে তুমি বাংলাদেশ’।”

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য যুবদল আয়োজিত এক অালোচনা সভায় তিনি এই আহবান ও নির্দেশনা দেন ।

মঙ্গলবার স্থানীয় রয়েল রিজেন্সী অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২ টায় ) তিনি ৪১ মিনিটের বক্তৃতায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি,সরকারের দু:শাসন,লুটপাট,ব্যাংক ডাকাতি,গুম,খুন ,নিপীড়নসহ সার্বিক চিত্র তুলে ধরে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন।

দেশনায়ক তারেক রহমান বলেন,আমি জানি শুধু আমার দলের নেতাকর্মীরা নয় একই সাথে বাংলাদেশের লক্ষ কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষ আছে, লক্ষ কোটি যুবক আছে, তরুণ আছে যারা বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ভোটাধিকার উদ্ধার করতে চায়। যারা হারিয়া যাওয়া বাক স্বাধীনতা উদ্ধার করতে চায়। যারা হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। আজকে আপনাদের এখানে যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বক্তব্য থেকে উঠে এসেছে যে আমাদের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই কিন্তু এখানে একটি কথা আছে। আপনারা যদি ইউটিউব ঘাটেন দেখবেন এই রং হেডেড শেখ হাসিনা সম্পর্কে তাদের দলের এক নেতা বক্তব্য দিয়েছেন ‌ কিভাবে শেখ হাসিনা বাসের উপর পেট্রোল বোমা মেরে লাশের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। এটি তাদের নেতাই বলে দিয়েছে রং হেডেড নেত্রী সম্পর্কে এবং সারা বাংলাদেশের মানুষ ২০০৭ সালে দেখেছে কিভাবে তারা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে তার উপর নেচে উল্লাস করেছে। তার কথার প্রমাণ হিসেবে শেখ সেলিমের কথা প্রমাণ হলো। ২০১৪ সালে যখন আমার নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উদ্ধারে আন্দোলন করছিল সেই সময়ে এই আওয়ামী লীগের নেতা তাদের আরেক নেতার নির্দেশ মোতাবেক কি করেছিল। বরিশালের এক নেতা প্রকাশ্যে প্রেস কনফারেন্স করে বলেছেন তার এলাকার আরেক নেতা কিভাবে বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে ১১ জন মানুষকে হত্যা করেছে। কাজেই মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে মানুষের লাশের উপর রাজনীতি করা এটি ওদের রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি নয়। বিএনপি কখনো এই ধরনের রাজনীতি করে না।

আমরা আন্দোলনে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করি। বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। একটি নয়, দশটি নয় শত শত প্রমাণ আছে যে তারা মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে তারা রাজনীতি করে। কাজে এই বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে তারা আমাদের সামনের এই আন্দোলনকে কোনভাবেই বিতর্কিত করতে না পারে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে এই বর্তমানের অবৈধ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে সে সময় রং হেডেড শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রমান সহ ১৪ হাজার কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। আমরা দেখলাম ক্ষমতা দখলের সাথে সাথে একটির পর একটি নিজের নামের মামলাগুলো তারা ঠিক সরিয়ে ফেলল। মামলার মুখোমুখি তারা আর হলোনা। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এইসব মামলাগুলোর বিষয়ে সরাসরি কথা বলা সম্ভব না। কাজেই আমার প্রশ্ন আমার জিজ্ঞাসা বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে এবং তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে, কি জন্য সম্ভব নয় তার বিরুদ্ধে কথা বলার এবং প্রশ্ন করার? দেশনায়ক বলেন, আমরা জানি যে কোনো সাংবাদিক কোন প্রধানমন্ত্রী কিংবা যে কোন ব্যক্তিকে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারে যদি তার কোন কিছু জানার প্রয়োজন থাকে। শেখ হাসিনাকে কেন প্রশ্ন করা যাবে না? কেন তিনি তার মামলা গুলো সরিয়ে নিলেন? এর উত্তর হচ্ছে গণতন্ত্র নেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার চিত্র। দেশের প্রধান বিচারপতি যাকে এই অবৈধ সরকারই নিয়োগ দিয়েছিল তাকে কিভাবে এই অবৈধ সরকার জোর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিল। প্রধান বিচারপতিকে তারাই নিয়োগ দিয়েছিল কিন্তু হঠাৎ করে কেন তাকে তারা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল? কারণ এই ভদ্রলোক যখন দেখলেন দিস হেজ বিকাম টু মাচ! তাকে দিয়ে হাসিনা একটির পর একটি রায় বাস্তবায়ন করাচ্ছে এবং তার পক্ষে আর কোনো মিথ্যা আবদার বাস্তবায়ন সম্ভব নয় এবং তিনি যখন আর সায় দিলেন না এবং তিনি রায় পড়তে অস্বীকার করলেন তখন তারা তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগলো। এর আগে আমরা দেখেছি মোতাহের সাহেব নামে আরেকজন বিচারপতিকে মিথ্যা রায় পড়ার জন্য যখন বাধ্য করা হয়েছিল কিভাবে তখন তাকে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বের করে দিয়েছিল দেশ থেকে। এইসব নির্বাসিত বিচারপতিদের কাছ থেকেই এই বক্তব্য গুলো এসেছে যে তাদের কিভাবে বের করে দেয়া হয়েছে।

যখনি তারা সুযোগ পেয়েছে জাতির সামনে তারা বলেছে কিভাবে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সবার কাছে এটি পরিষ্কার যে যারা সাধারণ মানুষের বিচার করবে তারাই যেখানে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত সেখানে কিভাবে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিচার পাওয়া সম্ভব? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি হাসিনার চরম প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার বর্ননা দিয়ে তারেক রহমান বলেন,আজকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে সকালবেলা কি দেখলাম? বিচারপতিকে বাধ্য করা হয়েছে ৩ দিন ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তাঁকে দেখা করতে দেয়নি। তাকে বাধ্য করা হয়েছে, তাকে জীবনের হুমকি দেখিয়ে বাধ্য করা হয়েছে আমাদের প্রিয় নেত্রীর নামে মিথ্যা রায় দেয়ার জন্য। আজকে এই হচ্ছে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার চিত্র। আজকে বাংলাদেশের কোন বিচারপতি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সত্য কথা বলতে পারেন না। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই অবৈধ সরকার আমার নেতাকর্মীসহ বহু সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে। ২৫ লাখের বেশি মানুষকে তারা আসামি করেছে। ১৫শ’র বেশি মানুষকে গুম করেছে। আর যখন নির্যাতন অত্যাচার এর সংখ্যা কোন ক্যালকুলেটরে পরিমাণ করা যাবে না। এই মানুষগুলোর অপরাধ এরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করে। এই মানুষগুলো অবৈধ শেখ হাসিনার সরকারের মিথ্যা, লুটপাট, অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমার দলের নেতা কর্মী নয় সাধারণ মানুষ, যুবক, তরুণ যারা কোটার আন্দোলন করেছে তাদেরকে কিভাবে দমন করা হয়েছে। তারা চেয়েছিল কোটার বিন্যাস করতে। এটি ছিল একটি সামাজিক আন্দোলন। আমরা দেখলাম কি নির্মম ভাবে, বর্বর জঙ্গি ভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কীভাবে এই মানুষগুলোকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং কষ্ট দেয়া হয়েছে। আজও আমরা দেখি অনেকগুলো মানুষ জেলখানায়। একদিকে বলছে কোটা মেনে নিলাম আরেক দিকে দেখা যাচ্ছে এই যুবকগুলোর লাশ নদীতে ভাসছে। এই যুবকগুলোসহ বহু সংখ্যক মানুষ জেলখানার ভিতরে ধুকে ধুকে মরে যাচ্ছে।

এ এক আজব ব্যাপার। তারেক রবমান বলেন, সরকারের একজন উপদেষ্টা যার বেতন মাসে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। আপনারা তো পৃথিবীর একটি উন্নত দেশে আছেন এবং এখানে বসবাস করছেন। আপনারা কি কেউ শুনেছেন ইউরোপে কিংবা আমেরিকায় কোথাও সরকারি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপদেষ্টার বেতন বাংলাদেশী টাকায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা? এই বিষয়টা কেন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল জনগণের কাছ থেকে? সৌভাগ্যক্রমে তাদের একজন অবৈধ মন্ত্রীর কাছ থেকেই জাতি এই মেসেজটি পেল। লুকিয়ে কেন রাখতে হবে? জনগনের টাকা আপনি তাকে বেতন দিবেন সেটা আবার লুকিয়ে কেন রাখতে হবে? যখন এই ঘটনাটি অবৈধ মন্ত্রী ফাঁস করে দিল তখন অবৈধ মন্ত্রীকে সেখান থেকে তারা সরিয়ে দিল। তাকে কয়েক দিন জেল খাটালো। তিনি বলেন, পত্রিকার পাতায় আমরা দেখলাম এই রং হেডেড শেখ হাসিনার প্রতিদিনের আপ্যায়নের বিল ২ লক্ষ টাকা। আপনারা সবাই বাংলাদেশের মানুষ ক্যামেরার ওপারে যারা বাংলাদেশ থেকে দেখছেন আমার জিজ্ঞাসা তাদের কাছে বাংলাদেশে প্রতিদিন ২ লক্ষ টাকা আপ্যায়ন বিল কি একটি আজব ব্যাপার নয়? এই টাকা তো জনগনের টাকা। অথচ ২ লক্ষ করে শুধু আপ্যায়ন বিল। বাকি অন্য খরচ তো বাদ দিলাম। কাজেই, একদিকে অত্যাচার-নির্যাতন, অন্যদিকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বেতন এবং আপ্যায়ন বিল প্রতিদিন ২ লক্ষ টাকা। এই হচ্ছে জাতির ওপর স্টিমরোলার চাপানো। তারেক রহমন বলেন, তাদের নেতা-কর্মী বলেন, মন্ত্রী বলেন লুটপাটে ব্যস্ত। বিভিন্ন কোম্পানি যেমন হলমার্ক, ডেসটিনির মত একটার পর একটা ব্যাংক খালি করে যাচ্ছে, ধসে পড়ে যাচ্ছে। গতকালকে দেখলাম আরো চারটি ব্যাংকের পারমিশন দিয়েছেন। যাবার তো সময় হলো আরো যত পারি নিয়ে যাই এই হলো তাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। দেশনায়ক বলেন, শুধু ব্যাংক খাত থেকে তারা গত কয়েক বছরে জনগণের ২ লক্ষ কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই যে ৮০০ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেল আজ পর্যন্ত কি আমরা দেখতে পেয়েছি একটা লোক কিংবা একটি গ্রুপকে ধরেছে যারা এই কাজটি করেছে? ব্যাংক গুলো জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা তসরুপ করেছে এটা এক আশ্চর্য ব্যাপার। লুটপাটের এক মহোৎসব দেশের মধ্যে। জনগণের সম্পদ লুটের এক মহোৎসব। কারো কোন বিচার নেই, কোথাও কোন জবাবদিহিতা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ তামা হয়ে যাচ্ছে। এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। ছোটবেলা থেকে দেখে আসলাম কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংএ রড দেয়া হয় এখন দেখলাম রডের বদলে ডিজিটাল স্টাইলে বাঁশ দেয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দেখলাম রেল লাইনের ২ স্লিপার জোড়া লাগানোর জন্য মাঝখানে কাঠ এর পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে রেখেছে। এই যে সব যায়গায় বাঁশ দিচ্ছেন এই বাঁশ কোনদিক দিয়ে ঘুরে কোন দিকে যাবে তা সময়মতো টের পাবেন। বাংলাদেশের জনগণ এইটা কয়দিন পরে হারে হারে দেখিয়ে দিবে।

তারেক রহমান বলেন, যখন সাগর-রুনি হত্যা হলো তখন শেখ হাসিনা বললেন ঘরে ঘরে ঢুকে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। বুঝলাম ঠিক আছে ঘরে ঘরে ঢুকে পুলিশের পক্ষে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম এই ছোট ছোট বাচ্চারা ছোট ছোট বোনেরা এরা যে নিরাপদ বাংলাদেশ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করলো তারপর আমরা দেখলাম তাদের ওপর হেলমেট লীগের আক্রমণ। আশা করি ইনশাআল্লাহ আর বেশিদিন নেই জাতিকে এসব তামাশা দেখতে হবে। এসব লুটপাট ও দুষ্কৃতিকারীদের দেখতে হবে। কিভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যারা আন্দোলন করেছিল তাদের ঘরে ঘরে ঢুকে রেইড দিয়ে তাদের ফেসবুক চেক করে তাদেরকে ধরে আনা হয়েছিল নির্যাতন করা হয়েছিল? এর জবাব দেয়ার সময় চলে এসেছে এবং এর জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, একদিকে লুটপাটের মহোৎসব অন্যদিকে সমগ্র জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো যখন ঐক্যবদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য যে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে সেই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য, যে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে সে বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য তখন এদের (আওয়ামীলীগ) সাথে যোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন নামের সংস্থাটি। কিভাবে এদেরকে আবার জনগণের সম্মতি ছাড়া জিতিয়ে আনা যায় এবং এর জন্য তারা অপকৌশল চালাচ্ছে এবং পরিকল্পনা করছে কিভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরি করা যায়। পরিষ্কারভাবে আপনাদেরকে সামনে বলে দিতে চাই এই যে জনগণের ভোট চুরির যে পরিকল্পনা করছেন এবং ইভিএম কেনার নামে জনগণের যে চার হাজার কোটি টাকা লুটের পরিকল্পনা করছেন এর থেকে সাবধান। যদি করেন গুনে গুনে জনগণ এর জবাব নিবে। আজকে আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের তালা ভেঙ্গে বের করে নিয়ে আসতে প্রস্তুত। তারেক রহমান বলেন, আমার দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে প্রস্তুত আছে ঠিক একইভাবে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি তরুণ প্রস্তুত আছে।

আজকে যুবক ভাইদেরকে, তরুণ বন্ধুদেরকে আমি আহবান করব তোমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছো, তোমরা বইয়ের পাতায় মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছো, মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা শুনেছো কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ দেখনি। আজ তোমাদের সামনে সুযোগ এসেছে যে বাংলাদেশ তোমরা চেয়েছিলে, যে বাংলাদেশ আমাদের পূর্বপুরুষেরা স্বাধীন করেছে, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের কারণে অনেক বার হোঁচট খেয়েছে সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। তরুন সমাজকে বন্ধু হিসাবে সম্বোধন করে তারেক রহমান বলেন,কোনো ধ্বংসাত্মক আন্দোলন আমাদের দল সমর্থন করে না। আমার অনুরোধ থাকবে আমার তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে দেশ তোমাদের, ভবিষ্যৎ তোমাদের দায়িত্ব ও তোমাদেরকে নিতে হবে। এবং সেই আন্দোলনকে সফল করার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারব যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।যুব সম্প্রদায়কে সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে কিভাবে সে আন্দোলনকে সফল করতে হবে। ভবিষ্যৎ তোমাদের দেশ তোমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। তোমাদেরকেই করে দেখাতে হবে যে তোমরা পারো এবং তোমরাই পারো। ইনশাআল্লাহ আপনারা প্রস্তুত হন আপনারা যারা দেশের বাইরে আছেন আপনারা আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুত হতে হবে।

যারা দেশের ভিতর আছেন আপনাদেরকে আপনাদের অবস্থান থেকে প্রস্তুত হতে হবে। আমরা অতি শীঘ্রই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি। এই আন্দোলন সেই আন্দোলন যে আন্দোলনে নারী, পুরুষ, যুবক, তরুণ সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারবে। সে আন্দোলনের সম্ভব হবে সেই দেশটিকে গড়ে তোলা যে দেশের স্বপ্ন আমাদের তরুণ এবং যুবক ভাইরা বুকে ধারণ করে। তিনি বলেন, দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করার জন্য ১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুবদল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর তিনি যুব মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। কোন যুব সম্প্রদায়কে যদি সঠিকভাবে পরিচালিত করা না যায়, যদি সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়া না যায় তাহলে কোন দেশের পক্ষে অর্থনীতি, সংস্কৃতি কিংবা ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব না। সেজন্যই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুব মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন যাতে করে দেশের যুব সমাজকে সঠিক নেতৃত্ব দেয়া যায় এবং সঠিক নেতৃত্ব প্রদান করা যায়। যেন সমগ্রদেশের সমস্ত যুব সম্প্রদায় দেশ গঠনে অবদান রাখে। কিন্তু আজকে অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে বলতে হয় যে, এই স্বৈরাচারী সরকার যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকার তাদের প্রধান বর্তমান শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সাথে অন্য সন্তানদের মুখোমুখি করে দিল কোটা আন্দোলনের মোকাবেলার কথা বলে।

সরকারের প্লান ছিল যদি তারা যুবক সম্প্রদায়কে শেষ করে দিতে পারে তাহলে অবৈধ ক্ষমতার নীলনকশা বাস্তবায়ন সহজ হবে। কিন্তু আমাদের যুব সম্প্রদায় ঠিকই আসল বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। তারা দাবি নিয়ে সামনে চলে এসেছে এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করেছে। এরকম আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। আজকে এখানে যতজন বক্তব্য দিয়ে গেছেন প্রত্যেকের কথার মধ্যে একটি কমন জিনিস ছিল। আজকে আমরা সকাল বেলায় যদি পত্রিকা দেখি তাহলে দেখবো স্বৈরাচারী সরকার এবং তাদের সাথে যারা আছে তাদের লুটপাটের খবর। আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক দলের কর্মীর কথা হল জনগণের অধিকার, জনগণের কথা বলার অধিকার, জনগণের নিরাপত্তা, জনগণের ভোটের অধিকার এবং জনগণের বাক স্বাধীনতার অধিকার। এই কয়েকটি শব্দ প্রতিদিন ঘুরে ফিরে প্রত্যেকটি মানুষ প্রতিদিন উচ্চারণ করছে। তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে, এই কয়টি জিনিস এই সরকারের সময় অনুপস্থিত। বক্তব্যের শুরুতেই দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশে এবং বিদেশের যুবদলের সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান। তিনি স্মরণ করেন সেই সব নেতাকর্মীদেরকে যারা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদেরকে’।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!