DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বাংলাদেশ গত ১০ বছরে কাতারসহ ১৬ দেশকে পেছনে ফেলেছে: লোটাস কামাল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ গেল ১০ বছর আগেও হত দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন আর হত দরিদ্র নেই। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই এক দশকে বাংলাদেশ কাতার সহ ১৬ দেশকে ডিঙ্গিয়েছে। আগামী ২২ বছরে এ দেশ আরও ২২ দেশকে পেছনে ফেলবে। বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডি আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেটে নিয়ে পর্যালোচনায় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে এ তথ্য দেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গতবার যখন সিপিডি প্রোগামে এসেছিলাম, তখন হতদরিদ্র হিসেবেই এসেছিলাম। এখন আমরা হতদরিদ্র নেই। কিছু দিন আগেই জাতিসংঘ আমাদের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে। তার আগে বিশ্বব্যাংক নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দেয়।

 

‘দরিদ্র শ্রেণির বন্ধনি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আরও একটি সুখবর হচ্ছে- ১০ বছর আগে পৃথিবীর অর্থনীতিতে আমাদের অবস্থান ছিল ৫৮তম দেশ। এই ১০ বছরে আমরা ১৬টি দেশকে ডিঙ্গিয়েছি- আমাদের অবস্থান এখন ৪২তম স্থানে। এই ১৬টি দেশ হলো-  ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, নিউজিল্যান্ড, কাতার, ভিয়েতনাম, পর্তুগাল, গ্রিস, পেরু, ইরাক, আলজেরিয়া, কাজাখস্তান, হাঙ্গেরি, কুয়েত, সুদান ও তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলা।’

 

——————————————————–
আরও পড়ুন : কৃত্রিম প্রজননে টাকি মাছের পোনা উৎপাদনে সফলতা
——————————————————–

 

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ৪২ থেকে উন্নত দেশে পাড়ি দেয়া। এটা আমরা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

 

তিনি বলেন, আমরা যদি ১০ বছরে ১৬টি দেশকে টপকাতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালে আমাদের উন্নত দেশ হওয়ার যে স্বপ্ন আছে, তা পূরণ করতে পারবো। প্রতি বছর একটি করে দেশকে পিছনে ফেলে ২২ বছরে ২২টি দেশকে টপকে যাবে বাংলাদেশ। তখন বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২০তম। আমরা জি-২০ বা এলিট ক্লাসে পৌঁছে যাবো।

 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সিপিডির বক্তব্য অনুযায়ী- আমাদের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা তা হয়তো আমরা অর্জন পারিনি। এর পেছনে মূল সমস্যা হচ্ছে পাওয়ার। এনার্জি না থাকলে ইন্ডাস্ট্রি হয় না। আর এটা না হলে আউটপুটও পাবেন না। আর রপ্তানিরও কোনও ব্যবস্থা থাকবে না।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।

 

বাজেট পর্যালোচনা ও সুপারিশ আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডি’র সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন। আর সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

 

পরিকল্পনামন্ত্রী এসময় ব্যাংক খাতে অনিয়মকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আরও শক্তিশালী করা হবে। তিনি বলেন, অনিয়মের জন্য ফারমার্স ব্যাংকের ১৪ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করবে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!