DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ভিসা না দেয়ার কারণে বেগম জিয়ার আপিলে থাকতে পারেননি লর্ড কার্লাইল

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকেঃ গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানিতে ব্রিটেনের আইনজীবউ লর্ড আলেক্স কার্লাইলের উপস্থিত থাকার প্রস্তুতি থাকলেও যোগ দিতে পারেননি। কারণ তাকে বাংলাদেশে যাওয়ার ভিসা প্রত্যাখ্যান বা প্রদান কোনোটিই করা হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকায় সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মিডিয়াকে জানালে তার সত্যতা যাচাইয়ে এই প্রতিনিধি সরাসরি লর্ড কার্লাইলকে ই-মেইল করলে তার প্রত্যুত্তর দেন।

এতে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ নট বিন রিফুউজড্ এ ভিসা, বাট নট বিন গ্র্যান্টেড ওয়ান ইদার। দ্য বাংলাদেশ গর্ভমেন্ট হ্যাজ ডিলেইড ডেলিবারেটলি ডিলিং উইথ মাই অ্যাপ্লিকেশন, ডাউটলেস সো দ্যাট আই কুড নট বি প্রেজেন্ট এট এ কোর্ট হেয়ারিং টুডে (টুয়েসডে)। আই ওয়াজ ইন্টেডিং টু বি প্রেজেন্ট ইন ঢাকা, বাট কুড নট ট্রাভেল উইথআউট এ ভিসা।’ অর্থাৎ আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান বা প্রদান কোনোটাই করা হয়নি। বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছা করেই আমার আবেদনটি প্রলম্বিত করছে, যাতে সন্দেহাতীতভাবে আজ (মঙ্গলবার) কোর্টের শুনানিতে থাকতে না পারি। আমার ঢাকায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু ভিসাবিহীন যেতে পারিনি।

এছাড়া অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ সিন নো জাস্টিফিকেশন ফর বেগম খালেদা জিয়াস কনভিকশন। আই হ্যাভ সিন এ লার্জ ভলিউম অব পেপার্স, বাট নাথিং টু সাপোর্ট এ কেস অফ হার হেভিং ডান্ অ্যানিথিং ফ্রডোলেন্ট অর ডিসঅনেস্ট।’ অর্থাৎ আমি বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তির ক্ষেত্রে কোনো যৌক্তিকতা পাইনি। আমি এক গাদা কাগজপত্র দেখেছি, কিন্তু সেখানে তাকে জালিয়াতি বা অসততার কারণে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কিছু পাইনি।

এদিকে ঢাকা থেকে আল-জাজিরায় ৫ মে প্রচারিত এক রিপোর্টে লর্ড কার্লাইলকে উদ্ধৃত করে ডেভিড বার্গম্যান জানিয়েছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার কারাদ-টি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। সেখানে তার প্রচারিত বক্তব্যটি হচ্ছে ‘আই হ্যাভ সিন অ্যাবসোলুটলি নাথিং টু সাজেস্ট দ্যাট দিস ক্লায়েন্ট হ্যাজ বিন ইনভল্ভল্ড ইন অ্যানি ফ্রড’।

অর্থাৎ এই মক্কেল (বেগম জিয়া) কোনো জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন তেমন ধারণার করার মতো কিছুই দেখিনি। পাশাপাশি কার্লাইল এও বলেছেন, সেখানে এ বছর শেষে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সোজাসাপ্টাভাবে যেহেতু তার (বেগম জিয়া) বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই, সেহেতু বন্দি করে রাখার কারণ একটাই হতে পারে, গুরুতর (মেজর) ও অব্যাখ্যেয় (ইনিক্সপ্লিকাবল্) কোনো ভুল, যাতে সরকার তাকে নির্বাচনি প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে পারে।

তাতে আল-জাজিরার প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কোনো প্রকার মন্তব্য করেননি। শুধু বলেছেন, ‘আই উইল নট রেসপন্ড টু দ্যাট। ইট ইজ এ জাজমেন্ট অব দ্য কোর্ট’। অর্থাৎ আমি কোনো প্রত্যুত্তর করবো না। এটা কোর্টের রায়।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, পূর্বাহ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য’ এবং ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আইনানুগ সহযোগিতা দিয়েছেন’ বিধায় কার্লাইল প্রসঙ্গে ‘দুঃখজনক’ বলেছেন। সেক্ষেত্রে লর্ড কার্লাইল জামায়াতে ইসলামীকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আইনমন্ত্রীর ওই মন্তব্য ‘স্ল্যান্ডার’ বা ‘মিথ্যা অপবাদ’।

 

প্রতিবেদকঃকানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!