DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কোটা বিরোধীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে – অবৈধ মন্ত্রী পলক

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যাপারে অবৈধ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের যুক্তি শুনুন।অবৈধ হাসিনার ডিজিটাল মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার ফেসবুক ওয়ালে এই স্ট্যাটাসটি দেবার  সাহস করেছেন।

১৯৭২ সালে ছিল ২০ ভাগ সাধারণ কোটা, ৪০ ভাগ জেলা কোটা, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ ভাগ ছিল নারী কোটা। ১৯৭৬ সালে সাধারণ কোটা ৪০ ভাগ, ২০ ভাগ জেলা কোটা, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ ভাগ ছিল নারী কোটা।

১৯৮৫ সালে সাধারণ কোটা ৪৫ ভাগ, ১০ ভাগ জেলা কোটা, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ ভাগ ছিল নারী কোটা এবং ৫ ভাগ উপজাতি কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৭ সালের পরিপত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।২০১২ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১% কোটা বরাদ্দ করা হয়।

কোটা প্রথা রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান দূর করার জন্যই, বৈষম্য তৈরী করার জন্য নয়। এই বৈষম্য দূর করার জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের শুরু থেকেই কোটা প্রথা ছিল।

কোটা প্রথার পক্ষের কয়েকজন ফোন করে বললো, আন্দোলনকারীরাতো সংখ্যায় বেশি। বললাম সমস্যা কি , মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মধ্যে মাত্র ২ লক্ষ সাহসী ও দেশপ্রেমিক যুদ্ধে গিয়েছিলো। যাদের অবদানে আজকের এই বাংলাদেশ। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে বসেই আজ তাদেরকে চরম অপমান করা হচ্ছে। তাদেরকে একটু সুযোগ সুবিধা দিলে এই বিবেকবানদের বিবেকে বাজে, কিন্তু তাদের অর্জিত দেশে বাস করতে অনেক আরাম। সুতরাং সংখ্যায় কম হলেও আমাদের আন্দোলনও চলবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!