DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

এবার বরিশালে হচ্ছে শেখ হাসিনার নামে নতুন ক্যান্টনম্যান্ট।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  এবার বাংলাদেশের অবৈধ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তৈরি হচ্ছে নতুন একটি সেনানিবাস। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা আরও সুদৃঢ় করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তার জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীর কাছে লেবুখালীতে দেশের ৩১তম এ সেনানিবাস নির্মিত হবে।

একজন ক্ষমতাসীন ব্যক্তির নামে সেনানীবাসের নামকরন অভুতপূর্ব।
 

এ জন্য 'শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল' শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রকল্প। ইতিমধ্যে একনেকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করবে ঢাকা সেনানিবাস।

পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, একনেকের নোটিশ হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও আমি দেখিনি।

তবে এটুকু বলতে পারি তালিকায় থাকলে শেখ হাসিনা সোনানিবাস প্রকল্পটি অবশ্যই একনেকে উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সরকার ঘোষিত ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এই  সেনানিবাস টি গড়ে তোলা হবে।

সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভেৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা প্রদান ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম, সুপ্রশিক্ষিত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়াতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত সহায়তা করতে পারবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে-  ৯৬৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা। এছাড়া ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৮ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৫১ হাজার ২৬৪ বর্গমিটারের ৮টি সর্বোচ্চ চারতলা পর্যন্ত অফিস ভবন নির্মাণ, ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৯ বর্গমিটারের ১২টি সর্বোচ্চ ১৪ তলা আবাসিক ভবন, ৯টি অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ, ৬২ হাজার ৮৯৯ বর্গমিটার আরসিসি বা বিটুমিনাস রোড তৈরি এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ বর্গমিটার সারফেস ড্রেন বা ডিসপোজাল ড্রেন তৈরি। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!