DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের আরও সোচ্চার হওয়া উচিত:শেখ হাসিনা

hasinabuda-copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের আরও সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল মন্তব্য করে  শেখ হাসিনা বলেছেন, এরাও তো মানুষ। নারী-শিশুরাও তো কষ্ট পাচ্ছে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়।

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পানি সম্মেলন-২০১৬ তে যোগদান শেষে শনিবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের ঘটনা যদিও তাদের অভ্যন্তরীণ ঘটনা, এরপরও এসব ঘটনা ঘটার পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথযাথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কথা বলা হয়েছে।’

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি যথেষ্ট সজাগ আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এতো অমানবিক ঘটনা ঘটে যায় যে মানুষ যখন একেবারে অসহায় হয়ে পড়ে, তাদের আশ্রয় না দিয়ে উপায় থাকে না। এটাই হলো বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এজন্য দায়ী- মাত্র কয়েকটি লোক প্রথমে তারা মিয়ানমারের নয়জন বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপিকে হত্যা করলো। তাদের শ’খানেক আর্মি সেখানে গেলে, তাদের ওপর হামলা করল। আর এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।’

তিনি বলেন, ‘দোষ দিতে হলে যারা বর্ডার গার্ডকে হত্যা করল, তাদের বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত। তারা কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে তাদের ধরে দেয়া উচিত। কারণ এদের কারণে আজ হাজার হাজার নারী-পুরুষ সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক। সামান্য কয়েকটা লোকের জন্য আজকে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) কে আমি দেখতে যাইনি, কিন্তু তারা তো মানুষ। নারী-শিশু তারাও তো কষ্ট পাচ্ছে- এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু কাদের জন্য হচ্ছে, কারা করছে। এজন্য বিশ্ববাসীর সচেতন হওয়া উচিত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আরেকটু সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা (বর্ডার গার্ডের ওপর হামলাকারী) এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, মাত্র একটা ঘটনা ঘটালো, নয়জন মানুষকে হত্যা করলো। আর তারপর এতো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আর তারা (হামলাকারীরা) যদি আমাদের এদিকেও এসে থাকে, আমি ইতিমধ্যে আমাদের গোয়েন্দাদের বলেছি- তাদের খুঁজে বের করা হোক। কেউ যদি এখানে শেল্টার (আশ্রয়) নিতে আসে, আমরা তাদেরকে শেল্টার (আশ্রয়) দেব না, তাদেরকে মিয়ানমারের হাতে তুলে দেব।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!