ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর ঘোষিত আংশিক কমিটির পদ-পদবি এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত দূর্নীতিবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।
পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যের ঘটনার অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে তারেক রহমান নিজেই লোক লাগিয়েছেন। দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা গোপনে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য-উপাত্ত পেলেই সরাসরি অ্যাকশনে যাবেন তারেক রহমান।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে চিন্তিত পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যেও সিন্টিকেট। ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর ঘোষিত আংশিক কমিটির পদ-পদবি এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে নিয়ে দলটির নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়ায় তিনি কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন এবং কেন্দ্রীয় পদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা যে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন করেছেন সেটা সম্প্রতি একজন কেন্দ্রীয় নেতার ব্যাংক স্টেটমেন্টেও ধরা পড়েছে। এর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের শুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা পর্যায়ের কিছু নেতা জড়িত বলে জানা গেছে।
চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘোষিত আংশিক কমিটির পদ-পদবি পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর জেনেছেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের ভেতরে এত বড় অনিয়ম ও দূর্নীতি তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তার মা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকদফা কথাও বলেছেন তারেক রহমান।
এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন, সেটা মায়ের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্র জানায়, যারা দল বিক্রি করে গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়বেন বলে খালেদা জিয়াকে জানিয়েছেন তারেক রহমান।
সূত্রটি আরো জানায়, এর আগে ঘোষিত কমিটির ৪২টি পদে তারেক রহমান যাদের নাম প্রস্তাব করেছেন, তাদের অনেকের নাম ঘোষণা হয়নি। এ নিয়ে তারেক রহমান তার মায়ের কাছে জানতে চান। খালেদা জিয়া তার জবাবে বলেন, অনেক চাপ আছে। যারা বাদ পড়েছেন তাদের দলের অন্য পদে দেয়া হবে।
এ নিয়ে চিন্তিত পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যেও সিন্টিকেট।
সূত্রমতে, কাউন্সিলের পর তিন দফায় ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া।
ত্যাগী ও যোগ্য নেতা মূল্যয়ন করার কথা দিলেও তা করা হয়নি বলে তৃনমূলে ব্যপক ক্ষোভ রয়েছে। এ কারণে ঘোষিত কমিটির যুগ্মমহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
জানা যায় দলের জন্য বিশেষ কোন ত্যাগ না থাকলেও শুধু মোটা অঙ্কের টাকার কিছু নেতা বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন গুরত্বপূণ পদ-পদবী। এসব নেতাদের বিরুদ্ধেই অ্যাকশনে যাবেন তারেক রহমান।