DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সজীব ওয়াজেদ জয় কি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন ?????

joyfo copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সজীব ওয়াজেদ জয়কে কি শিঘ্রিই শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে ???

আওয়ামী লীগ  নেতাকর্মীদের ধারণা, আওয়ামী লীগের ভাবী নেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে জয়কে পরিচিত করে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে। শেখ হাসিনা চাইছেন, দলের কাণ্ডারি হিসেবে গড়ে উঠুক ছেলে। এতে দলের এবং বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন জয় এবং দলের নেতা হিসেবেও নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন।

বিশেষ করে ৫ই জানুয়ারী '১৪ এর  বিতর্কিত ভোটার বিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা হাসিনা সরকারের ভাবমুর্তি পশ্চিমা বিশ্বে ততোটা উজ্জল না হওয়ায় তিনি জয়কে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষণে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কার্যকর পরামর্শকের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তার মার্কিন নাগরিক স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারকে। জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের রাজনীতি, ওইসব দেশের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আগেভাগেই বুঝে নিতে পারবেন স্ত্রীর সহায়তায়। এতে দায়িত্ব পালনে পরিপক্কতাও বাড়বে।

আর এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জোর গুঞ্জন চলছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এমনকি ছড়িয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যেও।

 বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ কিংবা পরিবর্তন নিয়ে ব্যপক গুঞ্জন আছে রাজনৈতিক মহলে। আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন জোটের শরীকদের মধ্যেও মন্ত্রিসভার ‘হাওয়া থেকে পাওয়া’ এ সম্প্রসারণ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। তবে এ প্রক্রিয়া কবে হবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই নেতাদের কাছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও জানা নেই এ সম্পর্কে।

শুধু তারা বলছেন, এটা অনুমাননির্ভর কথা। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের হিসাব অবশ্য ভিন্ন। সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে দুই মন্ত্রীর ‘অতিকথনে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরক্তি প্রকাশ নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে সেটাকে ভিত্তি ধরেই এ হিসাব-নিকাশ। এছাড়া অনিয়ম-দুর্নীতি জড়িয়ে পড়া মন্ত্রীদের নিয়েও সময়ে সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসন্তুষ্টির বিষয়ও হিসাবে নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম দিকে মন্ত্রিসভার এ সম্প্রসারণ কিংবা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।

যোগ-বিয়োগের এ প্রক্রিয়ায় কারা নতুন ‘যুক্ত’ হবেন, কারা ‘মুক্ত’ হবেন তা নির্ভর করে সরকার প্রধানের (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) পছন্দ-অপছন্দের ওপর। সরকার প্রধান ইচ্ছে করলে বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কেবল তখনই নিশ্চিত হওয়া যাবে ‘যুক্তের’ তালিকায় কারা থাকছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের হবেন, না কি শরীকদের প্রতিনিধিও নতুনদের তালিকায় থাকবেন।

তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিশ্বাস ভবিষ্যৎ, সম্প্রসারণে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে দলের সভানেত্রীর ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!