DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান সাংবাদিক নয় : মাহবুব উল আলম হানিফ

hanif1 copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  গত ১০ বছর তিনি কোথাও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না- উল্লেখ করে ‘শফিক রেহমান সাংবাদিক না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকা মিডিয়া ক্লাব লিমিটেড আয়োজিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের নবনির্বাচিত দুই সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও শাহে আলম মুরাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হানিফ এ মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, ‘শফিক রেহমানকে কোনো লেখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি গত ১০ বছর কোথাও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন- এমন তথ্যও আমাদের কাছে নেই। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়কে অপহরণ করে হত্যার যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদি কেউ কাউকে খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না?’

হানিফ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান কোনোদিন সাংবাদিক ছিলেন না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন, বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি আমার দেশে বসে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। তিনি আমার দেশে বসে সারা ঢাকাকে অচল করে দিতে হেফাজতের সঙ্গে ৮০ কোটি টাকা লেনদেন করেছিলেন। তিনি মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। এমন অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার পরও কি তাদের ধরা যাবে না? সাংবাদিক হলে কি তিনি আইনের ঊর্ধ্বে?

যারা তাদের জন্য মায়াকান্না করছেন তাদের অনুরোধ করবো, ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধ অবস্থান নেন। তাহলে জনগণের কাছে বার্তা যাবে যে, কেউ চক্রান্তকারীদের সঙ্গে নেই। কিন্তু তাদের পক্ষ নিবেন, এটি জাতি চায় না।’

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাথাপিছু আয় আগে ছিল ৮০০, আমরা ক্ষমতায় আসার পর হয়েছে ১৪০০। এটি কোনো ম্যাজিক নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আত্মকলহ বন্ধ করে দলকে শক্তিশালী করুন। অনেক বড় দল, অনেক মতভেদ থাকবে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক হয়ে কাজ করলে বাংলাদেশ সক্ষমতায় বিশ্বের শীর্ষে থাকবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘বিএনপি চক্র আজ প্রধানমন্ত্রীপুত্রকে অপহরণ করে খুন করতে চায়। আমরা বলে দিতে চাই, যদি এমন চক্রান্ত করতে চান, তাহলে ঢাকা মহানগরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাসায় থাকতে পারবেন না। কারণ, রক্তের জবাব রক্তের মাধ্যমেই দেয়া হবে।’

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!