DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

হেফাজতে ইসলাম কি আওয়ামী লীগের জঙ্গী কানেকশন ???

hefazot1

জাহিদ এফ সরদার সাদীঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ,একটি অরাজনৈতিক সংগঠন । এই সংগঠনটি এবং এর প্রধান বর্ষিয়ান আল্লামা শফির বাংলাদেশের দৃশ্যপটে হঠাৎ আগমন। গত ২০১৩ সালের ৫ই মে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বাংলাদেশের জন্য । কারন ঐ দিনে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ হেফাজত ইসলাম নামে এই সংগঠনের আহবানে শাপলা চত্বরে বিশাল সমাবেশ করে এবং কিছু ইসলামী দাবী পুরনের জন্য সরকারকে আহবান করে। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার বিষয়টি কে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে রাতের আঁধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা হাজারো হাফেজ হুজুরদের হত্যা করে এবং বিষয় টি ধামা চাপা দেয়।

অথচ এর পর এক রহস্য জনক কারনে সরকার আল্লামা শফির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং তাকে গ্রেফতারও করেনি,বরং তাকে স্বসন্মানে হেলিকপ্টারে করে হাটহাজারী চট্টগ্রামে পৌছে দেয়া হয়।ঐসময় নিহত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হত্যার দায়ে কোন মামলায়ও মাওলানা শফির নাম নেই,কেনো ? অন্ততঃ এসব হত্যার হুকুমের আসামী হিসাবেও তার না থাকা উচিৎ ছিলো বলে অনেকে মনে করেন।
 

তারপর থেকে হেফাজত ইসলাম কে আর দেখা যায় নাই। তারপর ৫ই জানুয়ারী, ২০১৪ তে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে একটি পরিকল্পিত ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। কিন্তু যেহেতু জনগন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই এবং বাংলাদেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল উক্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারে নাই। আর জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ার পারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট সহ সারা বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে।
যখন সমগ্র বাংলাদেশ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এর জন্য লড়াই করছিল তখন কিন্তু হেফাজত ইসলাম নামের সেই সংগঠন চুপ ছিল। বাংলাদেশের জনগন তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের আন্দোলনে কোন রকম সাহায্য পায় নাই। তখন সবার কাছে হেফাজত ইসলাম নিয়ে সন্দেহর সৃষ্টি হয়। চারিদিকে গুজব ওঠে হেফাজত ইসলাম আওয়ামী লীগের একটি চক্রান্তের অংশ !

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় পারিবারিকভাবে আত্মিয়তার বন্ধনে আবদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও প্রচার সম্পাদক বাকপটু হাছান মাহমুদ এবং হেফাজত প্রধান মাওলানা শফি। শুধু এই হেফাজত কানেকশনেই আওয়ামী সরকারে মন্ত্রীত্ব পান হাছান মাহমূদ । প্রয়োজনের সময়ে এই আপাত জামাত বিরোধী হেফাজতকে ব্যবহারের পরিকল্পনা হাসিনা সরকারের আগে থেকেই ছিলো।তা না হলে ৫ই মের গনহত্যা ছাড়াও রমনায় নারীদের অবমাননা,মুরতাদ লতীফ সিদ্দিকী এবং গাফফার চৌধুরী ইত্যাদি প্রসঙ্গে হেফাজতের কোন নড়াচড়া আদৌ দেখা যায়নি কেনো ?

এখন কথা হচ্ছে, যে হেফাজত ইসলাম বর্তমানে সানি লিওন কে বাংলাদেশে ঢুকতে দিবে না বা বাঁধা দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু যখন ৫ই মে হাজারো ধর্ম ভীরু হাফেজ মারা গেলো সেগুলোর বিষয়ে হেফাজত কোন পদক্ষেপ  নেয় নাই কেন?

দীর্ঘ ২ বছর পার হয়ে গেলেও হেফাজত ইসলামের সেই সব নেতারা কেন কোন কথা বলে নাই বা হাসিনাকে প্রশ্ন করে নাই অথবা সেই সব নিহত ধর্মভীরু হাফেজদের পরিবারদের সান্ত্বনা দেয়ার কথা বলে নাই। কোথায় ছিল তারা এতদিন?

আজ জাতি প্রকৃত সত্য জানতে চায় এই হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে । তারা কার স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করছে? নাকি বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র দেখানোর জন্য ভোটার বিহীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করছে? আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায় যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে না অথচ কে আসবে আর  আসবে না, এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে  নিয়ে কথা বলছে? হ্যাঁ সানি লিওন এর অতীত জীবন সম্পর্কে আমরা অবগত, তাই একজন মুসলিম হিসাবে তাকে একটি মুসলিম দেশে না আসতে দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব কিন্তু হেফাজত ইসলামের মতো কারো স্বার্থ রক্ষার জন্য নাকি  কোন কূটকৌশল বাস্তবায়নের জন্য ?

এগুলো সবই যে হাসিনারই কূটকৌশল , সেটা বুঝতে আর বাকি নাই কারো ।

saddi1লেখকঃ বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!