DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ভারতে লিভিং টুগেদারের পক্ষে ঐতিহাসিক রুল

scourtindiaযদি কোনো অবিবাহিত নারী ও পুরুষ স্বামী-স্ত্রীর মত একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন, তবে তাদেরকে বিবাহিত দম্পতি হিসেবে ধরে নেয়া হবে। শুধু তাই নয়, সঙ্গীর মৃত্যুর পর ওই নারী তার সম্পত্তির বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে বিবেচিত হবেন।

 

রোবরার এই মর্মে একটি ঐতিহাসিক রুল জারি করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট । সম্পত্তি সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে রোববার এই রুল জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক এমওয়াই ইকবাল এবং অমিতাভ রায়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

 

এ সম্পর্কে বিচারকদের অভিমত হচ্ছে, একটি যুগল ক্রমাগত একসঙ্গে বসবাস করতে থাকলে আইনগতভাবে তারা বিবাহিত হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। এ নিয়ে অন্য কোনো পক্ষের যদি আপত্তি থাকে তবে, তারা যে বিবাহিত নন এ বিষয়ে তাদেরকেই আদালতে প্রমাণ দাখিল করতে হবে। ভারতের প্রচলিত আইন বরাবরই বিয়ের পক্ষে রায় দিয়ে থাকে। ফলে দেশটিতে উপপত্নীরা কোনো রকম আইনী সহায়তা পান না এমনকি তারা সম্পত্তির অধিকার থেকেও হন বঞ্চিত।

 

কিন্তু সৃপ্রিম কোর্টে এই রুলের ফলে এখন উপপত্নীরাও সম্পদের অংশীদার হতে পারবেন। এটিই প্রথম নয়। ২০১০ সাল থেকেই লিভ টুগেদারে থাকা যুগলদের পক্ষে বেশ কয়েকটি রুল জারি করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

 

রোববার সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি বিবাদের রায় দিতে গিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলায় দেখা যায়, এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে ছাড়াই ২০ বছর ধরে এক নারীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার উত্তরাধিকারীরা ওই নারীকে দাদার উপপত্নী হিসেবে উল্লেখ করে তাকে সমুদয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিচারকরা কোনো রকম প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও ওই নারীকে মৃত ব্যক্তির বৈধ স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন।

 

এ সম্পর্কে বেঞ্চ বলছে, একজন নারী ও পুরুষ যখন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করবে তখন আইগতভাবে তাদের বিবাহিত দম্পতি হিসেবে ধরে নেয়া হবে এবং কোনো অবস্থাতেই ওই নারীকে রক্ষিতা বলা যাবে না।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!