DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণার অধিকার কে দিয়েছে?:ড.কামাল হোসেন

kamal-hossain-e1409565529218ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও সিপি গ্যাং নামের দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের ১০ বুদ্ধিজীবীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ক্ষমতা কে দিয়েছে জানতে চেয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ আয়োজিত কার্যকর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র সমাজ ও তরুণ সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ‘কে কারে অবাঞ্ছিত করছে? এ ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? যদি সরকার না দিয়ে থাকে তবে সরকার ঘোষণা করুক আমরা তাদের এ বেয়াদবি মেনে নেব না।’

হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আইনের আদায় করা যাবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনাতা পুনরুদ্ধার করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘গুম, খুন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রে দাবিকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষ খুন, গুম মেনে নেয়নি আর নেবেও না। তারা খুন, গুম প্রত্যাখ্যান করেছে।’

১৯৭০ সালের পর দেশে কোনো নেতৃত্ব নেই বলে যারা ধোয়া তোলেন তাদের উদ্দেশে কামাল বলেন, ‘যারা বলেন দেশে এখন আর নেতৃত্ব নেই। তারা মূলত স্বৈচাশাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।’

দেশের ছাত্র রাজনীতির প্রতি বর্তমান ছাত্র সমাজের বিমুখ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখন রাজনীতির নামে যেটা চালানো হচ্ছে তা কালো টাকার শক্তি।’

ড. হোসেন বলেন, ‘বাঙ্গালী জাতি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি আর করবেও না। খুন, গুম, গুলি, কামান ও ট্যাংক চালিয়েও অন্যায়কে মেনে নিতে বাধ্য করা যাবে না।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাসদ (একাংশ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘যারা এখন ক্ষমতায় আছ্নে তারা ইয়াহিয়া ও আইয়ুবের অনুসারী। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট চুরি না করলে বর্তমানে সংসদের স্পিকার সিপিএর সভাপতি নির্বাচিত হতেন না।’

একই সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশের দুই দলের প্রতি কারও প্রত্যাশা নেই। তাদের যে কেউ ক্ষমতায় গেলেই হল দখল করবে, টেন্ডারবাজি করবে। তারা তরুণ সমাজের মধ্য থেকে কোনো নেতাকে উঠতে দেবে না বলেই ডাকসুর নির্বাচন দেয় না।’

এজন্য তিনি এ দুই দলকে বাদ দিয়ে নতুন কোনো সংগঠন করার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বললেই শাস্তি হবে, এমন আইন করেছে বিএনপি আর এখন তার ফল ভোগ করছে আওয়ামী লীগ। তেমনি আওয়ামী লীগ এখন যে আইন করছে তা ভবিষ্যতে এসে বিএনপি ভোগ করবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আজম রুপু।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ডাকসুর ভিপি ও ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী ও আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!