DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

হাজীদের ওপর আইএসআইয়ের হামলার আশঙ্কা, সতর্ক সৌদি আরব

n-ISIS-HAJJ-MECCA-large570-300x125সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, ইবিওলা ভাইরাস আতঙ্ক ও অবৈধ হাজীদের চাপের মধ্যেই এবারের হজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সৌদি সরকার। বিশ্বের প্রথম সারির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, হজ অনুষ্ঠানকালে মক্কায় আক্রমণ চালাতে পারে আইএসআইএস।

একারণেই, আইএসআইএসের সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। এবার হজের সাথে প্রাসঙ্গিক সকল স্থাপনাকেই অত্যাধুনিক পর্যবেক্ষণ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। যে কোন প্রকার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ৬০,০০০ নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিয়েছে সৌদি সরকার।

 

জেটিজি ইনকর্পোরেশনের সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ ফাহাদ নাজের হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আইএসআইএসের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ থেকে আশঙ্কা তৈরী হয় যে, এবারের হজ অনুষ্ঠানের সময় আইএসআইএসের পক্ষ থেকে সৌদি আরবে আক্রমনের চেষ্টা হতে পারে।

অবশ্য সৌদি আরবে হজের সময়, হজ-প্রত্যাশীদের উপর হামলার আশঙ্কা এইবারই প্রথম সৃষ্টি হয়নি। ১৯৭৯ সালে আইএসআইএসের মতোই চরমপন্থী একটি গ্রুপ হজ অনুষ্ঠানের ঠিক পরপরই সৌদির গ্রেন্ড মসজিদে বোমা হামলা চালিয়েছিল।

সে সময় শতাধিক চরমপন্থীদের একটি দল হজ অনুষ্ঠানের পর দুই সপ্তাহব্যাপী সৌদির মসজিদ আল হারাম দখল করে রেখেছিল। ওই সময় সন্ত্রাসীগ্রুপটির দখল থেকে মসজিদ আল হারামকে রক্ষা করতে গিয়ে রক্তক্ষয়ী একটি সংঘর্ষ বাধে।

একইভাবে ১৯৮৭ সালে হজের সময় মার্কিন বিরোধী ইরানী আন্দোলনকারীদের সাথে সৌদি নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘাত বেধে যায়। ওই সংঘাতে কমপক্ষে ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিল। এর দুই বছর পরই ১৯৮৯ সালে হজের সময় বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন এক হজ-প্রত্যাশী। ওই বোমাহামলা চালানর অপরাধে ১৬ কুয়েতি শিয়া ধর্মাবলম্বীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সৌদি সরকার।



হজের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সৌদি সরকার মার্কিন বাহিনীর সাথে একাট্টা হয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসআইএস অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া বৃটিশ মালিকানাধীন কোম্পানি জিফোরএসের সাথেও হাজীদের নিরাপত্তারক্ষার্থে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সৌদি সরকার।

চলতি বছর সারাবিশ্ব থেকে কমপক্ষে ২০ লাখ হাজী সৌদি আরবে হজ পালনের জন্য সমাবেত হয়েছে। আইএসআইএস ছাড়াও এবারের হজের আরও একটি বড় আশঙ্কা হচ্ছে ইবিওলা ভাইরাসের সংক্রমণ। আফ্রিকায় ইবিওলা ভাইরাসের সংক্রমন ভয়ঙ্কর রূপ লাভ করায়, মহাদেশটি থেকে আগত হাজীদের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে সৌদি সরকার।

আফ্রিকা থেকে সৌদি আরবের ভূমিতে বিমানগুলো অবতরণের আগেই জীবাণুমুক্ত করা হয়। এছাড়া, সৌদি আরবের হাজীদের যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানের জন্য কমপক্ষে ২০,০০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইবিওলা সংক্রমণের আতঙ্কের কারণেই গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের হাজ-প্রত্যাশী সকল মুসলমানকে সৌদি আরবে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!