দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ আগামীর সোনালী বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্তি দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে তিনি জামিনে মুক্তি পান। স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র দেশ নায়ক তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির তল্পিবাহক ১/১১-এর সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দীন সরকারের নির্মম ও বর্বর নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই নেতা এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার সুস্থতা এবং দেশে ফিরে এসে বিএনপির রাজনীতিতে হাল ধরার প্রত্যাশায় রয়েছেন দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও দেশবাসী।
অপার সম্ভাবনাময় এই জনপ্রিয় নেতার কারামুক্তি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে বিএনপি। এবারো সারাদেশে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন করছে। দলের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনের লেখা নিয়ে আজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। কারামুক্তি দিবসে সারাদেশে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
তারেক রহমান তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতোই সারাদেশে অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি বিএনপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।

একই সাথে পদাধিকার বলে তিনি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি আত্মবিশ্লেষণ এবং সর্বোপরি দেশের চলমান সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করছেন। ঠিক তখনই দেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারও নতুন নতুন মামলায় জড়িয়ে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশের সূর্য সন্তান তারেক রহমান খুব শ্রীঘ্রই দেশে ফিরবেন। জাতীয়তাবাদী জনগণও তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। কারণ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা মুক্ত রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারেক রহমান ইতিমধ্যেই এদেশের গণমানুষের জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
নতুন সম্ভবনার উন্নত বাংলাদেশ গঠনে তারেক রহমানের নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে সসম্মানে বীরের বেশে দেশে ফিরে নিজ দল বিএনপির পাশাপাশি দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের কল্যাণে তিনি অবিরাম কাজ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দেশের আপামর জাতীয়তাবাদী জনগণ।

এরই মধ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সরকার এবং চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার অনুপস্থিত দেখিয়ে বিচার করে সাজা দেয়ার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িয়ে তাকে হয়রানি করা ও তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানো অব্যাহত রাখা হয়েছে।
।। এক নজরে : তারেক রহমান ও তৃণমূল রাজনীতি।।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে তারেক রহমান আনুষ্ঠানিক যোগদান করেন। ১৯৯৩ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য নির্বাচিত হন।
অতঃপর ২০০১ সালে দুই তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভের পেছনে নির্বাচনী প্রচার ও কৌশল নির্ধারণে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওই নির্বাচনে সফলতা তাকে আরো সক্রিয় রাজনীতিতে টেনে আনে। পরের বছর ২০০২ সালের ২২ জুন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সর্বসম্মতভাবে তারেক রহমানকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদে নিয়োগ দেয়।
এর পরপরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সর্বপ্রথম সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেন। দেশের তৃণমূল থেকে বিএনপিকে গড়ে তুলতে তৃণমূল সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের কাজে ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করেন।
অবশেষে ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।