DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

জিয়ার পুরো পরিবার খুনি: শেখ হাসিনা

hasina -aniসাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুরো পরিবারকে খুনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের পুরো পরিবার খুনি। অন্যকে সরিয়ে বন্দুকের নলে ক্ষমতায় গিয়ে সে পথেই ক্ষমতা হারান জিয়াউর রহমান।’ খালেদা জিয়া তাকে (শেখ হাসিনাকে) হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও একজন খুনি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভায় দেশ থেকে পাচার করা সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার করা হয়েছে। অতীতে যেমন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলের পাচার করা টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এনেছি। সুইস ব্যাংকে রাখা টাকাও আমরা ফেরত আনব।’ খন্দকার মোশতাককে আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সংবিধান পরিবর্তন করে নিজে রাষ্ট্রপতি হন।

এই মোশতাকের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা মদদ দিয়েছেন? মোশতাক বিবিসিতে সাক্ষাত্কারে বলেছিল জিয়াউর রহমান তাদের সমর্থন দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। জিয়া ক্ষমতা দখলের পর ১৯টা ক্যু হয়েছিল। শত শত অফিসারকে হত্যা করেছে এই জিয়াউর রহমান। আর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। এর নির্দেশদাতা কে? খালেদা জিয়া। তার নির্দেশে ও ইশারায় এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

আর তার পুত্র তারেক রহমান আমাকে হত্যা করার জন্য একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি আমলে ২০০১-৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে অনেক হত্যা হয়েছে, ধষর্ণ হয়েছে। কাজেই জিয়ার পুরো পরিবারই খুনি। জিয়া হত্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়া হত্যার পর একমাত্র আমিই প্রথম বিবৃতি দিয়েছি।

তিনি যখন খুন হন, তখন আমি সিলেটে ছিলাম, গিয়েছিলাম মাজার জিয়ারতে। ফেরার সময় শুনি ‘ক্যু’ হয়েছে, জিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তখন দেশের এমন অবস্থায় কেউ মুখ খোলেনি। আমি বিবৃতি দিয়েছিলাম। কারণ আমি চেয়েছিলাম দেশে আবার এই অজুহাতে মার্শাল ল না আসে। গণতন্ত্র ব্যাহত না হয়। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি প্রশ্ন করেছেন আমি ছিলাম কই?

আমি যদি প্রশ্ন করি আপনার ভূমিকা কী ছিল? স্বামী হত্যার পর এরশাদ একটি বাক্স নিয়ে এলো। আপনি তার কাছ থেকে বাড়ি-গাড়ি নিয়ে সব ভুলে গেলেন। এর অনেক দিন পর এসে বললেন এরশাদ খুনি। আপনিতো স্বামীর মুখ দেখতে চাননি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া হত্যার এতকাল পর জিয়ার স্ত্রী অভিযোগ নিয়ে এসেছেন আমরা নাকি জিয়াকে হত্যা করেছি। আমরা কেন হত্যা করতে যাব? এরশাদ একটা বাক্স নিয়ে এলো আপনি-আপনার ছেলে তো দেখতে চাইলেন না সে বাক্সে লাশ আছে কিনা? ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত একটি বাড়ি, নিয়ে নিলেন দুই বাড়ি।

এরশাদ সাহেব ভাবি সাহেবের যত্ন করতে একটু কার্পণ্য করেননি। রহস্যটা কী?’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যদি খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করি, এরশাদ কীভাবে ক্ষমতা নেয়ার সুযোগ পায়, আপনি যদি তাকে মদদ না দেন? খুন করা তাদেরই অভ্যাস, খুন করতে তারাই পারদর্শী। তার স্বামী খুনি, নিজে খুনি, তার ছেলে খুনি, পুরো পরিবারই খুনি। আমি তো সংলাপের জন্য টেলিফোন করেছিলাম। টেলিফোন ধরতে না কি ওনার রেডি হতে হবে। আমি তো ওনার চেহারা দেখব না। ফোন ধরতে মেকআপ নিতে হবে কেন? উনি ফোনে কথা বলার নামে ডায়লগ তো না ঝগড়াই করে গেছেন। আমি তো এ বিষয়ে পারদর্শী না।’ একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসররা এখনও সক্রিয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ খুন ও বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ দেয়া বন্ধ করুন।

রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে আসেননি। ভুল করেছেন। তাই আবোল-তাবোল বকছেন। এখন বিদেশি প্রভুদের পা ধরে কান্নাকাটি করছেন। আওয়ামী লীগ বিদেশিদের পা ধরে কাঁদে না, দেশের মানুষের সঙ্গে থাকে। আমি বিএনপি নেত্রীকে বলব মানুষ খুন ও বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ দেয়া বন্ধ করুন। এতে দেশের সম্মানহানি হয়। সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বলা হচ্ছে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার করা হয়েছে। আমরা সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত আনব। কার কত টাকা আছে সব জানা যাবে। ওখানে আপনারও টাকা আছে। আপনার ছেলের টাকা ধরা পড়েছে। আপনিও ধরা খেতে পারেন। একজনের টাকা ফেরত এনেছি বাকিদের টাকাও ফেরত আনা হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাসহ দলের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে যতটুকু প্রাপ্তি তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পেয়েছে।

এই দলটির জন্মই হয়েছে স্বাধীনতার জন্য। তারা সেই স্বাধীনতাকে পুনরুদ্ধার করেছিল। তার মূল কাণ্ডারি ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫-এর পর থেকেই আওয়ামী লীগ ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। ১৯৭৫-এর পর থেকেই আওয়ামী লীগ ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আওয়ামী লীগ হীরার খণ্ড, তাকে যতই কাটা হবে, ততই দ্যুতি ছড়াবে। আওয়ামী লীগ হলো হীরার টুকরার মতো যার রশ্মি মানুষের সেবায় নিয়োজিত। জিয়াউর রহমানের হাতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা হয়েছে। অনেক সেক্টর কমান্ডারকে হত্যা করেছে, এত বড় গাদ্দারি সে (জিয়াউর রহমান) বাংলার মানুষের সঙ্গে করেছে। ১৯৭৫-৯৬ পর্যন্ত হত্যা-গুম আর ষড়যন্ত্র পেয়েছে বাংলার মানুষ। স্বাধীনতার চিহ্নগুলোকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোশতাক এসে আওয়ামী লীগকে ভেঙে নতুন নামে দল গঠন করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, তিনি সভাপতি হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস বিশাল ইতিহাস, এত কম সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। বাঙালির সব অর্জনের পিছনে আছে আওয়ামী লীগের অবদান। আওয়ামী লীগের জন্ম, প্রতিষ্ঠা, সংগ্রাম ও আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।

স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালিকে মর্যাদা দেয়ার জন্য।’ জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কথায় আছে যে নালে আগমন সে নালেই গমন। অর্থাত্ বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতায় এসেছিল। সায়েম সাহেবকে গিয়ে বলেছিল আপনি অসুস্থ, দেশ চালাতে পারেন না। সায়েম সাহেব বলেছিলেন, আমি তো অসুস্থ না, জিয়ার হাতে অস্ত্র, সায়েম সাহেব পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো। জিয়াউর রহমান রেডিওতে গিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করল। অর্থাত্ নির্বাচিত নয়, ঘোষিত রাষ্ট্রপতি। আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য যত রকমের অপকর্ম করার প্রয়োজন— করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ প্রথমে উপলব্ধি করে দেশে জনগণের সরকার এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতির রোল মডেল। আমরা আজ পরনির্ভরশীল নই, আত্মনির্ভরশীল। সবাই বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না। আমরা বলেছিলাম হবে। আজ আমরা কাজ শুরু করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীর উন্নয়ন সবার চোখে পড়ার মতো বলেও জানান শেখ হাসিনা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কোনোদিনই চান না দেশের বাচ্চারা পাস করুক। কারণ উনি নিজেই তো এসএসসি পাস করতে পারেননি। আমাদের পাশের দেশে ৯৮ শতাংশ পাস করে।

আমাদেরও সেটা হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলতে বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সুইজারল্যান্ড হিসেবেই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আমাদের রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলার। আমাদের এখন কারো কাছে হাত পাততে হবে না। উন্নত দেশ হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি উন্নত দেশ হিসেবে দাঁড় করাব। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেয়, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে। দেয়াই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। দলকে সংগঠিত করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। সকল সহযোগী সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। জনগণের সব চাওয়া-পাওয়া আওয়ামী লীগকে ঘিরে। আর বিএনপি তো লুটপাট করতে আসে। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলব। ’৪১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। কারো কাছে হাত পেতে চলতে হবে না

। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে যে নূর হোসেন আন্দোলন করেছিল সেই নূর হোসেনকে যারা হত্যা করেছিল, দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল সেই সব ব্যক্তিই গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অতীত ইতিহাস। আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। বিএনপি নেত্রীকে সংলাপে ডাক দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তখন তিনি সাড়া দেননি।

এখন সংলাপ চান, কিন্তু সংলাপ হবে না। নির্বাচন হবে আগামী ’১৯ সালে। তার আগে সংলাপ হতে পারে। আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করবেন না। এতে বিনিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হবে। উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে যাব। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খবর শুনছেননি? যখন ভারতের রাষ্ট্রপতি আসছিলেন হরতাল দিয়ে দেখা দিলেন না বিএনপি নেত্রী। আর এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন বিএনপি নেত্রী দেখা করার জন্য আগেভাগেই বসেছিলেন দেখা করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নির্বাচনের জন্য ডাকলেন তিনি এলেন না। বললেন— আমি জননেত্রী। তাহলে তিনি নির্বাচনে কেন গেলেন না? এখন হেরে গিয়ে বুঝতে পারছেন শেখ হাসিনা কী জিনিস। একেই বলে রাজনীতি, একেই বলে কূটনীতি।’ তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী আপনি লাইনে আসেন। লাইন হলো গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ব্যবস্থা। সরকার চালাবে সরকারপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী।

আমাদের দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যেককে মানুষের কাছে যেতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিন ছিল গতকাল। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, পঙ্কজ দেবনাথ, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

সভা শুরুর আগ থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এলেও কিছু সময় থেকে সভাস্থল ত্যাগ করলে মঞ্চের সামনে লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছবি দিয়ে বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকনের শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো। পিছিয়ে ছিলেন না ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলুও। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!